জাপান সাকুরা প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষে দেশে ফেরত এলো বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
![জাপান সাকুরা প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষে দেশে ফেরত এলো বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/08/resize1597589222761.jpg)
মোঃ সুজন আলী
উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থ্যার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে জাপানের সুনামধন্য অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Okayama University) এর সাথে সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিলো প্রায় ১বছর আগে । আর এর পেছনে যে মানুষটির ভূমিকা (অবদান) সবচেয়ে বেশি তিনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী জনাব আবদুল্লাহ – আল আসাদ স্যার ।
আসাদ স্যার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক, বর্তমানে অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD প্রোগ্রামে রয়েছেন। আসাদ স্যারের জন্য অনেক অনেক শুভ- কামনা রইলো তিনি যেন সফলভাবে PhD প্রোগ্রাম শেষে দেশে ফেরত আসেন । সেই সাথে এই চুক্তির সাথে সংযুক্ত সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ।
চুক্তি অনুসারে জাপান সরকারের জাপান সায়েন্স এন্ড টেকনলোজি (JST Scholarship) এর আওতায় আমরা জাপান যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলাম । প্রাথমিকভাবে জাপান সাকুরা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন ছাত্র – ছাত্রী কে বাছাই করা হয়েছিল ।
সি ই সি বিভাগের মোঃ হাফিজুর রহমান (সেশন ২০১৪ – ২০১৫), ই ই ই বিভাগের নিলয় খান (সেশন ২০১৪ – ২০১৫), ই টি ই বিভাগের সোনিয়া আক্তার (সেশন ২০১৪ – ২০১৫) এবং ই টি ই বিভাগের রিতা রানী বিশ্বাস (সেশন ২০১৩ – ২০১৪) । কিন্তু সি ই সি এবং ই ই ই বিভাগে এম. এসসি. কোর্স চালু না থাকায় আমাদের প্রথম দুইজন ছাত্র বাদ পরে যায় । মোঃ হাফিজুর রহমান এবং নিলয় খান এর জন্য শুভ – কামনা রইলো তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করবে এই আশা রাখি ।
পরবর্তীতে ই টি ই বিভাগের বেনজির হুসাইন (সেশন ২০১৪ – ২০১৫) এবং ই টি ই বিভাগের প্রসেঞ্জিত দত্ত (সেশন ২০১৩ – ২০১৪) এই গ্রুপে সংযুক্ত হয়। আর এই চার জন ছাত্র – ছাত্রী কে সবদিক দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমাকে (মোঃ সুজন আলী, সহকারী অধ্যাপক, গণিত বিভাগ) সংযুক্ত করায় সেনসেই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ইতোমধ্যে, জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমি আমার প্রান প্রিয় চার জন ছাত্র – ছাত্রী কে সাথে নিয়ে ভিসা সংক্রান্ত সকল কাজ শেষ করলাম । পরেরদিন আমি আমার কর্মস্থলে ফিরে এলাম । এরপর আমাদের অপেক্ষার পালা শুরু হল ।
অবশেষে ১৫ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ঢাকায় পৌঁছানোর পর সবাই প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ( বিশেষ করে টাকা ইয়েনে পরিবর্তন, কেনাকাটা ইত্যাদি ) গন্তব্যে ফিরে গেলাম । ১৬ ই ফেব্রুয়ারী ( বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরুর উদ্দেশ্যে ) হযরত শাহাজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এ পোঁছালাম । অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ১৭ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ পৃথিবীর অন্যতম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট জাপানের কানসায় এয়ারপোর্ট এ হাজির হয়েছিলাম। এই লম্বা সফরে সার্বিক সহযোগিতায় আসাদ স্যারের অবদান অনস্বীকার্য ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে ২৩ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ এই সাতদিন আমরা জাপানে ছিলাম। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় আমাদের প্রোগ্রাম শুরু হয়ে বিকাল ৫ টায় শেষ হতো । প্রথম দিন (১৮ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০)সেনসেয় অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ, একাডেমিক কার্যক্রম, মাস্টার্স এবং পি এস ডি (PhD) প্রোগ্রাম সহ নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা রাখলেন। ক্লাশ রুম, ল্যাব রুম সহ আনুসাঙ্গিক সব কিছু দেখে আমি আর আমার ছাত্র- ছাত্রীরা শুধু অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। এরই ফাঁকে ল্যাবে জাপানিজ ছাত্র – ছাত্রীদের সাথে পরিচিত হলাম।
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম। জাপানিজ ছাত্ররা সেনসেয় (Professor) এর ল্যাবে কি ধরনের কাজ হয় সেই বিষয়ে আমাদেরকে অনেক কিছু জানালো। সেনসেয় এর ল্যাবটি এক কথায় অসাধারন!!! প্রতিটি ল্যাবই যেন আধুনিক প্রযুক্তির সমাহার ।
সব কিছু দেখে মনে হল এখানে থেওরি আর ল্যাবের এক দারুণ রসায়ন কাজ করছে , নতুন কিছু করার জন্য এরা মুখিয়ে আছে। আর এই প্রযুক্তির প্রসারে জাপান সরকার অগ্রণী ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছে । জাপানে থাকাকালীন অটো, বাস এবং ট্রেন ( বিশেষ করে বুলেট ট্রেন, ঘণ্টায় ৩০০ কি. মি. ) সার্ভিস দেখে আমাদের কাছে এটা প্রমাণিত হয়েছিল যে জাপান পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দেশ।
অকামাতে হাঁটার সময় কোন একজন বলেছিল এটা জাপানের একটা গ্রাম । আমাদের মনে হয়েছিলো এটা যদি গ্রাম হয় তাহলে জাপানের অন্য শহর গুলোর কি অবস্থ্যা ??? এই গ্রামের মত একটি শহর ও আমাদের দেশে নেই । চারিদিকে শুধু বড় বড় স্থাপনা, বহুতলা ভবনগুলোর দিকে তাকালে শুধু প্রযুক্তির ছোঁয়া চোখে পড়ে ।
আসলে, জাপান সরকার জাপানের প্রতিটি জায়গায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছুঁয়া পোঁছে দিয়েছে । জাপান সরকার বিভিন্ন দেশের সেরা মেধাবীদের এখানে আসার সুযোগ করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে । এই সব মেধাবীদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক সব ল্যাবে নতুন নতুন উদ্ভাবন চলছে। আর এইভাবেই প্রযুক্তি নির্ভর জাপান আরও বেশি এগিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের অবস্থান কে উন্নত করছে উন্নত দেশের উচ্চ আসনে ।
১৯ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে ২০ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ পর্যন্ত আমি এবং আমার ছাত্র- ছাত্রীরা অনেক গুলো ল্যাব দেখেছিলাম। সেনসেয় দের নামে পরিচিত এই সকল ল্যাবে নানা ধরনের গবেষণা (রিসার্চ) হয়। নতুন নতুন গবেষণা সৃষ্টিই এই সকল ল্যাবের মূল কাজ। প্রত্যেক সেনসেয় তাদের ল্যাব সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রেখেছিলেন।
ল্যাবের আধুনিক সব যন্ত্রপাতি আমাদেরকে দেখালেন এবং কোন যন্ত্রে কি ধরণের কাজ হয় সব কিছু আমাদের কে বুঝাইয়া দিচ্ছিলেন। আর এই সকল্ কাজে আসাদ ভাই সহ বাংলাদেশী বড় ভাইয়েরা (রাজিব ভাই, ফিরোজ ভাই সহ অনেকে ) অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। জাপানে PhD চলমান এই সকল ভাইদেরকে (সার্বিক সহযোগিতার) অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই তিন দিনে আমরা অনেক কিছু জানলাম এবং শেখার চেষ্টা করলাম। আর সেনসেয় এই সব কিছু মনিটরিং করছিলেন। প্রতিদিনের ( সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ) প্রোগ্রাম শেষে সন্ধ্যার পর আসাদ ভাই এবং হান্নান ভাইয়ের সাথে বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটা করতে যাওয়া এবং রাতে ইন্দিয়ানা – নেপালি হোটেলে খাওয়ার কথা কখনোই ভুলবার নই । ল্যাব দেখার পাশাপাশি সেনসেয় আমাদের গ্রুপকে কিছু সফটওয়্যার সংক্রান্ত কাজ দিয়েছিলেন।
২১ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ শুক্রবার সকাল ১০ টায় এসে তিনি আমাদেরকে বেলা ২ টায় রিপোর্ট প্রেজেন্টেশন এর কথা বলে গেলেন। পূর্বেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু হলেও আমাদের হাতে খুব বেশি ডাটা ছিল না। তারপর ও গ্রুপ মেম্বার সবাই মিলে কোন রকমে একটা প্রেজেন্টেশন তৈরি করলাম।
শুক্রবার জুমার নামাজ থাকায় এই ক্ষেত্রে প্রসেঞ্জিত কে অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে হয়েছিল। আমরা সবাই মিলে মোটামুটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলাম। প্রেজেন্টেশন শেষে সেনসেয় সাকুরা সায়েন্স এর অবদানের কথা তুলে ধরলেন এবং আমাদের সবাই কে সাকুরা সায়েন্স এর পক্ষ হতে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করলেন।
শেষ বেলায় আসাদ স্যার ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের বাংলা ভাষা (International Mother Language Day) এর উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা রেখেছিলেন। সর্বোপরি, সাকুরা প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করার জন্য আমার গ্রুপ মেম্বার, আসাদ স্যার, সেনসেয় এবং ল্যাবের সকল ছাত্রদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিকাল ৫ টার পর সেনসেয় আমাদেরকে অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ঘুরে দেখালেন। এক কথায় অসাধারণ!!! আধুনিক সিস্টেমে পরিচালিত এই লাইব্রেরী আমাদের চোখে অন্যতম সেরা লাইব্রেরী হিসাবে প্রতিয়মান হয়েছিলো।
সেনসেয় জাপানের নোবেল প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের নিয়ে অনেক কথা বললেন । সন্ধ্যায় সেনসেয় ডিনার পার্টি দিয়েছিলেন । সেখানে অনেক সময় আমাদের সাথে সেনসেয় গ্রুপ মেম্বারদের আড্ডা, বাংলাদেশ এবং জাপানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা চলেছিল । সেনসেয় এর সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পেরে আমরা সত্যিই গর্ব অনুভব করছিলাম।
২২ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ বেলা ৪ টায় আমাদের অকায়ামা ত্যাগ করার দিন ছিল। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সকাল ১০ টায় Kurakuen Garden and Okayama Jo – Castle দেখার উদ্দেশ্যে আমরা সবাই ঘুরাঘুরির জন্য বের হলাম । কিন্তু বৃষ্টি আমাদের যাত্রাকে রুখে দিলো । পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে BIC CAMERA and AYON MALL দেখার জন্য রওয়ানা দিলাম। সেনসেয় আগে থেকেই AYON MALL এ অপেক্ষা করছিলেন। আমরা পোঁছালে সবাই মিলে ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং অনেক কেনাকাটা করলাম ।
বলে রাখা ভালো যে, আমাদের দেশে ঢাকা শহরে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্ক এই সব শপিং মলের কাছে নিতান্তই ছোট । জাপান সরকার কেনাকাটা সহ অনান্য খরচ বাবদ আমাদের প্রত্যেকে ৯৫ হাজার ইয়েন দিয়েছিল। এই ইয়েন দিয়ে BIC CAMERA থেকে কেউ কেউ আই প্যাড, হাত ঘড়ি (জাপানিজ), আবার কেউ কী আই ফোন কিনে নিলো।
কেনাকাটা শেষে সেনসেয় আমাদের সাথে দুপুরের খাবার খেলেন। খাবার শেষে সেনসেয় এর কাছ থেকে সবাই বিদায় নিলাম এবং হোটেলে ফিরে গেলাম। বিকাল ৫ টায় জাপানের কানসায় এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লাম । রাত্রে কানসায় হোটেলে ফিরে আসাদ স্যারকে বিদায় দিলাম। বাংলাদেশে ফেরত আসার উদ্দেশ্যে কানসায় এয়ারপোর্ট (বেলা ৯ টা ৩০ মিনিটে বিমান ) এ রওয়ানা দিলাম ।
বিমানে লম্বা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ২৩ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে আল্লাহ এর রহমতে শাহাজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এ পোঁছালাম। ফেরার পথে সবার চোখে ছিল নতুন নতুন স্বপ্ন, নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করার দিঢ় প্রত্যয় ।
উল্লেখ্য যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্র ইতোমধ্যে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে অবস্থান করতেছে । আমার জানামতে, জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে এটাই ছিল বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র – ছাত্রীদের প্রথম দেশের বাইরে যাওয়া । আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকুক এই শুভ – কামনা সব সময় থাকবে । নতুন নতুন জ্ঞান আর চিন্তা – ভাবনায় বেড়ে উঠুক আমাদের প্রাণের ছাত্র – ছাত্রীরা ।
তাদের অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের এই ৫৫ একরের প্রতিটি কোনায় কোনায়, বশেমুরবিপ্রবি এমন সব খবরের মাধ্যমে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকুক বিশ্ব দরবারে এই আমাদের সবার মনের আশা । এমনটি হলেই এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাবে তার আসল পরিচয় । আর এই বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষা করতে পারবে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের সার্থকতা এই আমার বিশ্বাস।
পরিশেষে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ (এয়ারফেয়ার টিকেট, হোটেলে থাকা, খাওয়া – দাওয়া ইত্যাদি ) বহন করার জন্য জাপান সরকার (Japan Science and Technology Agency) কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই সেনসেয় কে সব কিছু সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য । আর এই ভাবেই জাপান সাকুরা প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করে বশেমুরবিপ্রবিতে ফিরে এলাম আমরা।
মোঃ সুজন আলী
সহকারী অধ্যাপক
গণিত বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ ।