জিবিএমসির পথচলার এক বছর

জিবিএমসির পথচলার এক বছর

মো. রাকিবুল হাসান, গণ বিশ্ববিদ্যালয়


সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীতবিষয়ক সংগঠন গণ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক কমিউনিটি (জিবিএমসি) দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। গানপ্রেমীদের আতুরঘর জিবিএমসি সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর। শুরু থেকেই এটি নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা এখনো সমান গতিতে অব্যাহত রয়েছে।

গুঁটি কয়েক শিক্ষার্থী নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে এ সংগঠনের। যা এখন, এক বিশাল পরিবারে পরিণত হয়েছে। একটি সংগঠনের জন্য এক বছর বেশি সময় নয়। কিন্তু এই অল্প সময়েই বেশ সুনাম ও খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে গবির এই জিবিএমসি।

জিবিএমসি’র সাধারণ সম্পাদক আবু মুহাম্মদ রুইয়াম বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলা, ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ড, ব্যান্ডমিন্টন ফ্রন্ট, ছয়তলার গানের আড্ডা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মিউজিশিয়ানদের অক্লান্ত পরিশ্রমের নাম জিবিএমসি। ২০১৯ সালের এই দিনে পথচলা শুরু করে আমাদের এই প্রাণের সংগঠন।

প্রথম দিকে আমরা কয়েকজন শুরু করলেও ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে আমাদের পরিবার। এরই মাঝে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের মতো করে কয়েকটা প্রোগ্রাম করেছি। অনেক কিছুই দিয়েছি আবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু দিতে পারিনি। তবে নিজেদের গানের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করবো এটাই আমাদের স্বপ্ন। সেই দিকেই আমরা আগাচ্ছি।

রুইয়াম বলেন, জিবিএমসি’র এই পর্যন্ত আসাতে যারা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, যারা ভালোবেসে সাপোর্ট দিয়েছেন, সবাই কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। আপনাদের সাপোর্ট ছাড়া আমরা এতদূর আসতে পারতাম না। শুভ জন্মদিন গণ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক কমিউনিটি।

জিবিএমসি’র সভাপতি আকাশ আহমেদ। তিনি বলেন, জিবিএমসি’র সকল সদস্য ও উপদেষ্টাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আজকের এই অবস্থানে আমরা আসতে পেরেছি। আলাদা করে কারো নাম না বলে, সকল সদস্যকে জিবিএমসির সাফল্যের কারিগর মনে করি।
জিবিএমসি হয়ে ওঠার গল্প আমরা কিছু সংখ্যক সংগীত প্রিয় ছাত্ররা ক্যাম্পাসে সংগীত চর্চা করতাম। সংগীত চর্চা করার মতো তখন কোনো নির্জন বা সুন্দর পরিবেশ ছিলো না। তাই আমরা কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় তালায় সংগীত চর্চা করতাম। এক সময় আমরা উপলব্ধি করলাম- আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ও আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা সংগীতের সাথে জড়িত।

সঠিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় সংগীত থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছে। তখন আমরা উপলব্ধি করি- আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে একটি মিউজিক সংগঠন করতে পারলে, সবাই সুস্থ সংগীত চর্চা করতে পারবো। এরপর ই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিউজিক কমিউনিটির স্বপ্ন শুরু।

জিবিএমসি’র প্রথম দিন আমাদের একটি মিউজিক সংগঠন দরকার, ক্যাম্পাসের সংগীত প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরি। গবি ছাত্র সংসদ কে বলি। তখন সবাই আমাদের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায়। এরপর আমরা সকলে মিলে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করি। তাদের উৎসাহ পেয়ে ২৫ অক্টোবর ক্যাম্পাসের সকল সংগীত প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগন, প্রশাসনের কর্মকর্তা নিয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের সংগঠনের নাম ও সংগঠনের যাত্রা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়।

এক নজরে অর্জন গণ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক কমিউনিটির সদস্যরা এক বছরে ফার্মেসী ও ইংরেজি বিভাগে, ছাত্র সংসদে, বাণী অর্চনা, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রী, প্রশাসনসহ সবার মন কেড়েছে। জিবিএমসি’র সবচেয়ে বড় অর্জন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *