জোয়ারের পানিতে ব্যতিক্রমী গায়ে হলুদ ছাত্রলীগ নেতার

জোয়ারের পানিতে ব্যতিক্রমী গায়ে হলুদ ছাত্রলীগ নেতার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি তে ভাসছে বাড়িঘর, উঠানে কোমর সমান পানি। কিন্তু তাতে কী; সখের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। গ্রামের মানুষের অংকের হিসেবে নাকি ‘ সখের তোলা আশি টাকা।’ আর তাইতো ব্যতিক্রমী, দুর্যোগের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকিরের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান এভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

থৈ থৈ পানির মধ্যে বর-কনেকে বসিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনায় উঠে আসে। যখন লালুয়ার রাবনাবাদ পাড়ের হাজারো পরিবারের চুলায় হাঁড়ি ওঠেনি। টানা চার দিনের অস্বাভাবিক দুই দফার জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মানুষের বাড়িঘর চালচুলা সব ডুবে গেছে। ভাঁটিতে একটু পানি কমলে তারপরে ঘরের চৌকির ওপরে মাটির তৈরি আলগা চুলায় যার সঙ্গতি ছিল সে রান্না করেছেন। অর্ধাহার-অনাহারে ছিল শত পরিবার।

সোমবার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের চাপ কমেছে। এমন ভরা দূর্যোগের মধ্যে লালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ফকিরের গায়ে হলুদ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। হাস্যরসও করেছেন কেউ কেউ। লালুয়ার কলাউপাড়া গ্রামের বাড়িঘর উঠান পানিতে থৈ থৈ করা অবস্থায় ২২ আগস্ট এ অনুষ্ঠান হয়েছে।

জানা গেছে, মহিউদ্দিন ফকির রাঙ্গাবালী উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে হান্নান মিয়ার মেয়েকে ২৯ জুলাই বিয়ে করেন। ২০ আগস্ট তিনি নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২২ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। জোয়ারের কোমরসমান পানিতে বাড়ির উঠানে প্লাস্টিকের চেয়ারে বর-কনেকে বসিয়ে এ অনুষ্ঠান করেন সজনেরা।

মহিউদ্দিনের বাবা বারেক ফকির জানান, কী করমু। চারদিক, ঘরবাড়ি, উঠান পানিতে ডুবে গেছে। কই যাবেন। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। এলাকার মানুষের এ সময় কষ্টের জন্য তিনিও ব্যথিত। মহিউদ্দিন জানান, আগেই তারিখ নির্ধারিত ছিল। আত্মীয়-সজনেরা চলে আসায় দূূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থাকলেও কোনমতে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয়েছে। তবে মহিউদ্দিন এই দিনটিকে তার কাছে স্মরনীয় বলে উল্লেখ করে চারিপাড়ার রাবনাবাদ পাড়ের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামত করে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *