ঝগড়া এবং ধৈর্য্য

ঝগড়া এবং ধৈর্য্য

ঝগড়া এবং ধৈর্য্য
মোঃ আলমগীর হোসেন



ঝগড়া ছিল জনম জনম,
আজো ঝগড়া আছে;
ঝগড়া থাকবে সামনে দিনে
মিলের পাছে পাছে।

ঝগড়া আছে পরিবারে,
বউ শ্বাশুরীর সাথে;
ঝগড়া লেগে দুই জনা খুব
অনল দ্বন্দ্বে মাতে।

বউ শ্বাশুরীর চুলাচুলি,
পাড়া পড়শি হাসে;
সুখের ঘরে উলু উড়ে,
নিঠুর সর্বনাশে!

বউ চলে যায় বাপের বাড়ি,
আসবে না আর ফিরে;
বাপ নাহি তাই চাচায় জিগায়
কেমন আছিস মা’রে?

স্বামী আমার ভালোই তবে
শ্বাশুড়ি দেয় জ্বালা;
সারাদিনই গালাগালি,
মুখে দেয় না তালা।

এমন ওষুধ দাওনা চাচা,
করবো তারে হত্যা;
এমন মানের দিও যেনো
কেহ না পায় পাত্তা।

বিশটা বড়ি দিলো চাচায়,
কুড়ি দিনের জন্য;
মায়া করে খাওয়ায়ে দিবি,
জান হবে তার শূন্য।

খাওয়ার পরে যাবে বেড়ে
আগের চেয়ে রাগ,
কুড়ি বড়ি শেষ হলেই
ধরবে মরণ বাঘ।

তবে রে মা লক্ষ্মী সোনা,
রাগ করিসনা তুই;
রেগে গেলে ফেঁসে যাবি,
সাথে ফাঁসবো মুই।

চাচার কথায় নম্র মাথায়
শুরু অভিযাত্রা,
ধীরে ধীরে শ্বাশুরী মা’র
কমে রাগের মাত্রা।

ওষুধ শেষে শ্বাশুড়ি হাসে,
মরার খবর নাই;
মিষ্টি ভাষায় কথা বলে,
রাগ হলো তার ছাই।

বউকে এখন বউ মা বলে,
এক থালাতে খায়;
অবাক হয়ে বউ দ্রুত
চাচার কাছে যায়।

এমন ওষুধ দাও গো চাচা,
শ্বাশুড়ি না মরে!
শ্বাশুড়ি যে মায়ের মতো,
ছায়া আমার ঘরে।

চাচায় বলেঃ ওগো মেয়ে
চিকিৎসা দেই আমি;
যে ওষুধ দিয়েছি তোমায়
বিষ নহে তা জানি।

তোমায় আমি বলেছিলাম,
ওষুধ চলাকালে
কোনো কথা বলিও না
শ্বাশুড়ি রাগ হলে।

রাগ করোনি বলেই তোমার
শ্বাশুড়ি খুব খুশী,
তোমার ধৈর্যে তুমি মহৎ
হয়েছো খুব বেশী!

ঝগড়া বিবাদ হার মেনেছে
ধৈর্য্য ধরার কাছে,
ঝগড়া ছিল জনম জনম,
আজো ঝগড়া আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *