ঝু্ঁকি নিয়েই বিশ্বের ৬৭টিরও বেশি দেশে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান.

ঝু্ঁকি নিয়েই বিশ্বের ৬৭টিরও বেশি দেশে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান.

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাকালে ঝুঁকি নিয়েই আগামী সপ্তাহে ৬৭টিরও বেশি দেশে চালু হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা- ইউনিসেফ বলছে, সংক্রমণ এড়াতে নীতিমালায় ভিন্নতা থাকলেও অধিকাংশ দেশই বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর জুন-জুলাইয়ে বেশকিছু দেশে খুলে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বয়সের ভিত্তিতে মাস্ক ব্যবহারে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, সম্প্রতি জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশের পরিস্থিতি। সতর্কতা স্বত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাইরাস ছড়িয়েছে দেশগুলোতে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও তাইওয়ানসহ বেশকিছু দেশে সফলতা মিললেও জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে স্পষ্ট হয় ব্যর্থতার চিত্র।

এমন পরিস্থিতিতেও আগামী সপ্তাহে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার পর সংক্রমণ ঠেকাতে নিজস্ব নীতিমালা নির্ধারণ করে দেশগুলো।

এর মধ্যে মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাত ধোয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থা ও শ্রেণীকক্ষেও পরিবর্তন এনেছে অনেকে। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে আলাদা সময়ে ক্লাস ও অতিরিক্ত শিক্ষক রেখেছে অনেক দেশ।

সুরক্ষা ও শিক্ষা একসঙ্গে নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং- এমন মত থেকে কেউ কেউ অনলাইনেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদিও ডিজিটাল পদ্ধতির সহজলভ্যতা এবং শিক্ষার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এদিকে নতুন নির্দেশনায় ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক এবং ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে মাস্ক পড়ার বিধান দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *