ঢাবির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও কি ঢাবির শিক্ষার্থী! পরিষ্কার করলেন উপাচার্য

ঢাবির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও কি ঢাবির শিক্ষার্থী! পরিষ্কার করলেন উপাচার্য

সানজিদ আরা সরকার বিথী,
ঢাবি প্রতিনিধি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক ঐতিহ্যবাহী নাম।ঢাবির অঙ্গরাজ্য ও কম নয়।ঢাবির অধিভুক্ত কলেজ,ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।অনেক সময় এ জন্য ঢাবি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।ঢাবির অধিভুক্ত কলেজ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ও হয়েছে। কারন ঢাবির অধিভুক্ত কলেজ,ইন্সটিটিউট গুলো ও নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দাবি করে থাকেন।এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।এবার ঢাবি উপাচার্য পরিষ্কার করে দিলেন কারা ঢাবির প্রকৃত শিক্ষার্থী!

সম্প্রতি শিক্ষাবিষয়ক একটি অনলাইন পোর্টালে সংযুক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কারা সে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোঃ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন,’ঢাবির আইন কাঠামো অনুযায়ী নিয়মিত অর্থাৎ কোনো না কোনো আবাসিক হলে সংযুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শিক্ষার্থী।’

ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রকৃত শিক্ষার্থী কারা সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘এটি একটি আইনি কাঠামোর প্রশ্ন। বিষয়টি খুবই আলোচিত এবং পর্যালোচিত একটি বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থী মানে হলো সে কোনও না কোনও হলে সংযুক্ত হয়ে ভর্তি হবে। আমাদের শুধু একটি বিভাগে ভর্তি হবে তা নয়, বিভাগে সে পড়াশোনা করবে, কিন্তু আমাদের আইন এবং মডেলটি হলো, একটি হলের সাথে সে ভর্তি হবে।’

‘এটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য৷ ফলে বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভর্তিকৃত যে শিক্ষার্থীরা, তারা যেই ইনস্টিটিউট এবং বিভাগেই পড়ুক না কেন তারাই আমাদের শিক্ষার্থী। তাদেরকে আমরা বলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।’

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ সুবিধা, সেটি যতটুকুই সীমিত থাকুক না কেন, যতটুকুই সীমিত সামর্থ্য থাকুক না কেন, সেটুকু এই শিক্ষার্থীদের জন্যই বরাদ্দ।’

অপরদিকে অধিভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘এই শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন উপাদানকল্প, এটিকে বলা হয় কনস্টিটিউয়েট, অধিভুক্ত, অ্যাফিলিয়েটেড এই ধরনের প্রতিষ্ঠান তার সেখানে ভর্তি থাকবে। তারা সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।’

‘যেহেতু আইন হলো, ডিগ্রী প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ বা অন্য কোনও ইনস্টিটিউট ডিগ্রি প্রদান করতে পারে না। সে কারণে তারা সেখানকার ছাত্র কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাফিলিয়েটেড। সে কারণে বিষয়গুলো নিয়ে মাঝে মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যাবলী পরিচালনা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং ফিনান্সিয়াল এই তিনটি যাদের জন্য তারাই হলো আমাদের শিক্ষার্থী। আর শুধুমাত্র একাডেমিক বিষয়টির মনিটরিং করবে, পাঠদান নয়, কারিকুলামের অ্যাপ্রুভাল দিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক ওই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে কিনা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর এই একাডেমিক অংশটুকুর দেখভাল করবে।’

ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আর আমাদের যেটি সেখানে ফিনান্সিয়াল অ্যাপ্লিকেশনস, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজমেন্ট, অল লজিস্টিকস, একাডেমিক এই পুরোটাই হল হলকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা হলে ভর্তি হয়।’

‘সুতরাং ঢাবি শিক্ষার্থী মানে হলো আমাদের এই সকল শিক্ষার্থী আর অন্যদিকে বিভিন্ন কলেজের অধিভুক্ত, উপাদানকল্প কলেজের সেখানের শিক্ষার্থী তাদের একাডেমিক বিষয়ের মনিটরিংটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় করে৷ এটাই হলো মূল বিষয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *