তিতুমীর কলেজ: স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষ

তিতুমীর কলেজ: স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার নামক একটি সংস্থা দুই মাস ধরে ক্যাম্প চালিয়ে আসছিল রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে।

কিন্তু মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

সংঘাতের পর রাস্তায় এসে স্লোগান দিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেন জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ঘটনায় তিতুমীর কলেজ প্রশাসন এবং জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার সাধারণ ডায়েরি করার কথা জানিয়েছে। এবসময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

তিতুমীর কলেজের কর্মচারীরা অভিযোগে জানান, তাদের ওপর তিনবার হামলা চালানো হয়েছে। রাত ১০টায়, ১২টায় ও রাত ২টায়।

এ ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে জানতে চাইলে তারা জানান, রবিবার ছেলেদের থাকার জায়গায় একজন মেয়েকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ভিতরে প্রবেশ করতেই করোনা বুথের দুজন ছেলে ও একজন মেয়েকে অসৌজন্যমূলকভাবে থাকতে দেখে তিতুমীর কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা প্রতিবাদ করেন।

এরপর হেলথ কেয়ারের কর্মীরা তাদের হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। সর্বশেষ সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদের দুজন কর্মীকে হেলথ কেয়ারের কর্মীরা কলেজ গেটে মারধর করেন। একপর্যায়ে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মীরা চড়াও হন। তারা তিতুমীর কলেজের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের বাইরে বের করে দেন।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি আমাদের স্টাফদের অনেক পেটানো হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা করণীয় ঠিক করব। ’

তিতুমীর কলেজের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ, তিতুমীর কলেজ নাট্যদল, শুদ্ধস্বরসহ বিভিন্ন সংগঠন।

জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের স্বেচ্ছাসেবীরা অভিযোগ করে জানান, কলেজের কর্মচারীরা অনেক দিন ধরে তাদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করছেন। তাদের মনোভাব এমন, যেন এই কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে করোনা টেস্টের জন্য স্থাপিত বুথগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজের কর্মচারীদের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘তিতুমীর কলেজে আমরা একটা ক্যাম্প চালিয়ে আসছি দুই মাস ধরে। কভিড-১৯ রোগীদের যারা স্যাম্পল সংগ্রহ করেন, আমরা তাদের ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এখানে আমাদের প্রায় ১৭৫ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করেন। এখানকার তিতুমীরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, তারা সব সময়ই একটু ঝামেলা করতেন।

‘আমরা এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’ জানিয়েছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *