দাম্পত্যজীবনেও খোঁজা হচ্ছে ধর্ষণের গন্ধ, ভাঙনের পথে পারিবারিক বন্ধন

দাম্পত্যজীবনেও খোঁজা হচ্ছে ধর্ষণের গন্ধ, ভাঙনের পথে পারিবারিক বন্ধন

মাজেদুল ইসলাম


স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া কোন স্বামী যদি যৌন সম্পর্ক স্হাপন করে, তাহলে সেটাকে বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ ম্যারিটাল রেইপ হিসেবে গণ্য করে আইন সংশোধনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠিয়েছেন -৭১ টিভির সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ওয়াহিদা আফসানার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃজাহিদ চৌধুরী জনি।

পরিবারগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির জন্য এই এক আইনি নোটিশেই যথেষ্ট। না জানি, এটা পাশ হয়ে যায় কি না! স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার বৈধ যৌন মেলামেশাতেও যখন আপনারা ধর্ষণ খুজতেছেন; বাহ, নারীবাদী নামে নারীদের ভোগ্যপন্য করার মতো কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। নিজেরা তো পরিবার খেয়েছেন; বাঙালি পরিবারগুলোতে আপনাদের বিষ ঢুকিয়ে এখন এগুলো ভাঙতে চাচ্ছেন??

একজন বিবাহিত নারী ও পুরুষ হবে পরস্পরের বস্ত্রস্বরুপ।বস্ত্র যেমন যাবতীয় রোদ,বৃষ্টি, ঝড়,দৈন্যতা থেকে মানুষকে রক্ষা করে তেমনি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে সর্বাবস্থায় রক্ষা করবে। সঠিক সময়ে বিয়ে না দিয়ে এমনিতেই পশুর মতো অবাধে মেলামেশা করতেছে বর্তমানের যুবসম্প্রদায়। আজকে পার্কগুলোতে কনডমের প্যাকেটের সমাহার,পতিতালয় গড়ে উঠেছে যত্রতত্র, অবৈধ বাচ্চা জন্ম দিয়ে ফেলে দিচ্ছে ডাস্টবিনে।

কিছু বুদ্ধিজীবী ধর্ষণকে ঠেকাতে পতিতালয় তৈরীর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করলেন।কতটা জ্ঞানহীন হলে মানুষ এমনটা বলতে পারে!নারীর অধিকারের কথা বলে যখন পতিতালয় সৃষ্টির কথা বলা হয়, তখন ব্যপারটা বড্ড হাস্যকর মনে হয়।ওইসব পতিতালয়ে কি ওইসব বুদ্ধিজীবির মা- বোন এসে পতিতাবৃত্তি পথ বেছে নিবে? এসব থেকে জাতির কিভাবে উত্তোরণ করা যায় তা নিয়ে মাথাব্যথা নাই,আসছে স্বামী – স্ত্রীর মধ্যকার যৌন মেলামেশায় ধর্ষণের মতো গর্হিত জিনিষ খুঁজতে।

একজন স্বামী ও স্ত্রী অবশ্যই তাদের ভালো থাকা নিয়ে আলোচনা করবে; আর কোন সময় যৌন মেলামেশা করা যাবে কি যাবে না এসব বিষয়ে তারাই অবগত থাকে।পিরিয়ড কালীন বা স্ত্রীর অসুস্থাবস্হায় কোন স্বামীই যৌন মেলামেশায় আগ্রহ দেখাবে না।।

যখন আমরা এসব একান্ত বিষয়ও আইনি নোটিশ করবো,তখন একজন স্বামী সর্বদা ভয়ে থাকবে, না জানি ধর্ষণ হচ্ছে কি না।তখন তাদের মধ্যকার ভলোবাসার মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হবে।স্বাভাবিক বিষয়গুলোতে সংকোচবোধ কাজ করবে!!

একটা পুরুষ আজ একটা ভালো চাকরির জন্য বিয়ে করতে পারেনা।প্রায় ২৭-৩০ বছর পর্যন্ত একাকী থাকে যেখানে তার যৌন তাড়না আসে প্রায় ১৬-১৭ বছর বয়সে।আজকে পুরুষের সম্পত্তির সাথে নারীর সৌন্দর্যের বিয়ে হয়।

একজন যুবক- যুবতী কেন বিয়ে করে??সার্বক্ষণিক একজন বৈধ ও নিরাপদ শারীরিক, মানসিক, আত্মিক সঙ্গী পাওয়ার নিমিত্তে। যদি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে এ রকম সন্দেহের বীজ ঢুকায় দেই তাহলে অনেকে আর কয়েকটা বছরের জন্য বিয়ে করার সাহস হারিয়ে ফেলবে।

সম্পত্তির বিনিময়ে কিন্তু এখন বিয়ে হচ্ছে।একজন ছেলে যখন সম্পদশালী হয়ে যাবে আর বিয়ে করলেও যদি ধর্ষনের মতো ন্যাক্কারজনক বিষয় জড়িত হয় বৈধ যৌন মেলামেশায় তাহলে বিয়ে করার কি দরকার?? পতিতালয় গিয়ে তাদের শারীরিক চাহিদা পূরণ করবে, কোন ঝামেলা নেই।আর সন্তান এখন অনেকভাবেই পাওয়া যায়।

সুতরাং স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যেকার যৌন সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক বিষয় না ঢুকিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য বিবাহোত্তর সহনশীলতার শিক্ষা দিয়ে দাম্পত্যজিবন সুন্দর ও আনন্দময় করার ব্যবস্হা করা যেতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *