দিশেহারা হয়ে ক্যাম্পাস খোলার আগেই ফিরছেন শিক্ষার্থীরা

দিশেহারা হয়ে ক্যাম্পাস খোলার আগেই ফিরছেন শিক্ষার্থীরা

সুফিয়ান সোহাগ


করোনা মহামারী বিস্তারের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রথিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই ফিরতে শুরু করেছেন পিছু টানে। অনেক শিক্ষার্থীর দাবি টিউশনি ও পার্ট টাইম জব করেই পড়াশোনা চালাতে হতো, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বাসায় চলে গিয়ে এখন আর্থিক সংকটে পরেছেন অনেকে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, মহামারীর শুরুতেই গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় চলে এসেছি। টিউশনি ও পার্ট টাইম জব করে পড়াশোনা চালাতে হতো। কিন্তু বাসায় এসে এখন সংকটে পরেছি। তবে টিউশন ছুটে যাবার ভয়ে আমাকে আবার খুললায় ফিরতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশনি বা পার্ট টাইম চাকরি করে নিজের খরচ চালায়। অনেকে আবার পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। ফলে এই করোনাকালে তাঁরা বিপদে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থীর দাবি, টিউশনি করেই পড়াশোনা সহ সব খরচ চালাতাম। এখনতো টিউশনি নাই, ফলে ইন্টারনেট কিনে অনলাইন ক্লাস করতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনার কারণে আমার সব টিউশনি চলে গেছে। নতুন টিউশনির খোঁজে এবং বন্ধুদের ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে অনলাইন ক্লাস করার জন্য খুলনায় এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো আশা খুঁজে না পেয়ে আপাতত রংমিস্ত্রির কাজ করছি।’

পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, ‘প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে হয়। এই অবস্থায় দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ এ ছাড়া লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে খুলনায় ফিরে এসেছেন।

আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অথচ অনলাইনে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য খুলনায় ফিরে এসেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *