দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

চুয়েটে মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “মহান বিজয় দিবস আমাদের গৌরবের ও অহংকারের দিন। আজ আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারাদেশে কানেক্টিভিটির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকা-েড প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।”

চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশেও করোনাকালে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, ওয়েবইনারে সেমিনার-কনফারেন্স আয়োজন, টেলিমেডিসিন সেবাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন জনগণের দৌড়গোড়ার পৌঁছে গেছে। আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক। তরুণ প্রজন্মকে এক্ষেত্রে দক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

তিনি আজ ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার), ২০২০ খ্রি. চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চুয়েটে মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব এটিএম শাহজাহান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে সকালে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর এবং চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে স্টাফ ওয়েলফেয়ার আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয়। এছাড়া বাদ আছর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

নোবিপ্রবিতে বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃনোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ৫০তম মহান বিজয় দিবস ২০২০ উদযাপন করা হয়।

আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২০) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‍্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন বিভাগ, হল ও সংগঠনসমূহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সকাল ১০.০০টায় নোবিপ্রবি পরিবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।

উদ্বোধন শেষে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে গোলচত্ত্বর, কেন্দ্রীয় মাঠ প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ও মূলফটকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ স্ব স্ব সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমির সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, নোবিপ্রবি’র বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, রেজিস্ট্রার ড. মো. আবুল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব ইকবাল, কর্মচারীদের পক্ষে টিটু চন্দ্র দাস। এসময় অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউট ও দপ্তরসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই মিলে একটা পরিবার। আমরা যেন সকলে বিশ্ববিদ্যালয় ও এদেশের জন্য কাজ করতে পারি এটাই হোক আমাদের অঙ্গিকার। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নপূরন হবে। আসুন পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে আমরা শক্তিশালী করি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মহান বিজয় দিবসের এদিনে জাতির পিতাসহ পঁচাত্তরে শহিদ হওয়া তার পরিবারের সদস্যদের কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরণ করি। মহান বিজয় দিবস সাফল্যমণ্ডিত হোক।

উল্লেখ্য, বিজয় দিবসকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১.৫০ মিনিটে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ মিনারে কালো ব্যাজ ধারণ করে নিষ্প্রদীপ মহড়া ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২০) নোবিপ্রবির শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২০) নোবিপ্রবি’র প্রশাসনিক ভবন, অডিটোরিয়াম, প্রধান ফটক ও একাডেমিক ভবনের অংশ বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান দিবস উদযাপিত

আশিক আরেফীন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চির উন্নত মম শির’ ও ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’-এর বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি উপস্থিত সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর শহীদ এবং যেসকল মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাতৃভূমির স্বাধিকারের জন্য আজকে এই বিজয় দিবস। এদিন আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন মাতৃভূমি। এই মাতৃভূমির প্রতি যদি কোন বিপন্নতা আসে, এর যদি কোন দৈন্য, দুর্দশা আসে তোমরা আবারো সোচ্চার থাকবে। এই মাতৃভূমিকে ভালোবাসবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল বায়ান্নোর সে ভাষা আন্দোলন থেকে। মাকে যেমন ভালোবাসো এ দেশটাকে তেমন ভালোবাসবে। এই দেশটাকে যেমন ভালোবাসো তেমনি আমাদের মায়ের ভাষা বাংলাভাষাকে ভালোবাসবে, আমাদের সংস্কৃতিকে ভালোবাসবে।’

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে অবমাননাকারী দেশবিরোধী অপশক্তি যেন আর কখনো ক্ষমতার মসনদে না আসতে পারে সে জন্য সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।’

কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, কলা অনুষদের ডীন ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২০-এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ সাহাবউদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহ্জাদা আহসান হাবিব, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জনাব জুনায়েদ কবির, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব রাকিবুল হাসান রাকিবসহ অন্যান্যরা।

শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, ডীন, হল প্রশাসন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২০-এর সদস্য-সচিব ড. মোঃ সুজন আলী, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ড. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস) প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদিকে দিবসটিকে কেন্দ্র করে আজ (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় আন্তর্জালিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

আলমামুন সরদার, খুবি প্রতিনিধিঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ উদযাপিত হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সকাল সাড়ে ৬ টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরিধান করে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্ত্বরে পৌঁছান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এরপরই বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, অফিসারদের সংগঠন চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পরে উপাচার্য কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন করেন এবং সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের ওপর বইপুস্তক ঘুরে দেখেন। পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্য ফিতা কেটে জয় বাংলা ভবন (দশতলা বিশিষ্ট ৪র্থ একাডেমিক ভবন) নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বেলা ১১.৩০ মিনিটে প্রথমবারের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের সম্মাননা হিসেবে পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের চেক, একটি পদক ও একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়। বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে সম্মানজনক এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন। উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, “সমাজে সমস্ত বিভেদ ও রেষারেষি ভুলে যাঁরা বাংলাদেশ গড়ার জন্যে লড়াই করেছেন তাঁদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা একান্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন আমরা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটা লালন করতে পারলে আজকের এই মহান বিজয় দিবস সার্থক হবে।” পরবর্তীতে উপাচার্য সকল কলাকুশলীসহ যারা অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগীতা করেছেন সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শহীদদের প্রতি গবিসাসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি : মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে গবিসাসের বর্তমান কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রনি খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান মনি নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এসময় গবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান তারেক, বর্তমান উপদেষ্টা মো. রিফাত মেহেদী, অর্থ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আশিকুর রহমান, দাফতরিক চিত্রগ্রাহক মো. রকিবুল ইসলাম অয়ন, সাধারণ সদস্য সুপর্ণা রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিজয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নিয়মমাফিক গবিসাসের বর্তমান কমিটির (৭ম কার্যনির্বাহী পরিষদ) মেয়াদ সমাপ্তি হলো৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *