দেশে যাদের ‘শিক্ষিত’ বলছি বিদেশে তাদের ‘চাহিদা’ নেই

দেশে যাদের ‘শিক্ষিত’ বলছি বিদেশে তাদের ‘চাহিদা’ নেই

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ড. শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারছে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ হলো শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার জ্ঞান না থাকা। আমরা যাদের শিক্ষিত বলছি বিদেশে সেই শিক্ষিত লোকের কোন চাহিদা নেই। দেশে দক্ষ জনবলের অভাব ভারত খুব ভালভাবে কাজে লাগাচ্ছে।

আজ রবিবার ( ২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি ও প্রকৃতি-২০১৯ অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণাভিত্তিক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এসময় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী।

সংবাদ সম্মেলনে ড. শাহদীন মালিক বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহারিক কিংবা কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব কম দেয়া হয়। অথচ উন্নত বিশ্বে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রাথমিক অবস্থা থেকে দেয়া হয়।

দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বাড়ার অন্যতম কারণ এটি। বর্তমানে দেশের উচ্চ শিক্ষিতদের কাজের কোন সুযোগ নেই। কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে পারছে না।”

ড. শাহদীন মালিক বলেন, “চলতি বছরে আমাদের বৈদেশিক রেমিট্যান্স খুব বেশি হলে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি হবে। এই পরিমান রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।

অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ থেকে গত পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর ৪-৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এদেশে ভারতের মাত্র ২-৩ লাখ মানুষ কাজ করে। এই সংখ্যাই দেখিয়ে দেয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মান কতটা নিচে আছে।”

তিনি বলেন, ভারতে যে কয়টা দেশ সব থেকে বেশি থেকে রেমিট্যান্স আয় করে তার মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম। আমরা যাদের শিক্ষিত বলছি বিদেশে সেই শিক্ষিত লোকের কোন চাহিদা নেই। শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে পুরোপুরি ধসে গেছে তা খুব সহজেই বোঝা যায়। সরকারের উচিৎ এই বিষয়টির দিকে এখনি নজর দেয়া। না হলে বেকারের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *