ধর্ষণের প্রতিবাদে খুবিতে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

ধর্ষণের প্রতিবাদে খুবিতে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

খুবি প্রতিনিধি


বর্তমানে দেশজুড়ে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) মূল ফটকের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

দেশের চলমান এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, আজকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় বা দীর্যস্থায়ীবিচার প্রক্রিয়ার কারণে ধর্ষকেরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যতদিন না ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা না হবে ততদিন এর প্রতিকার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী ইসরাত রেজওয়ানা তিশা আক্ষেপ করে বলেন, আজকে আমার মত মেয়েরা যখন ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন কমপক্ষে বিশ বার ভাবতে হয় যে আমার জন্য কি কি মন্তব্য আসতে পারে, চারিদিকে যেন কর্তৃত্বের চোখ। এর থেকে বেরিয়ে এসে শুধু মুখে নয়, বাস্তবে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এর নিস্তার সম্ভব।

শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে অংশ নেন শিক্ষকেরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মাহদী-আল মুহতাসিম নিবিড় বলেন, আমরা আমাদের পশুত্বকে কেনো দমন করতে পারছি না? দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, জিডিপি বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু আত্মার উন্নয়ন হচ্ছে না। আত্মার উন্নয়ন ব্যতীত এই পশুত্বকে দমন করা সম্ভব নয়। আমরা ছোটবেলায় মিনা কার্টুন দেখেছি, সেখানে শেখার অনেক কিছুই ছিলো। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম দেখে টিকটক। এসব থেকে কি শিখছে তারা?

বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক শামীম রেজা বলেন, আমাদের এই স্বাধীন দেশে আমার বোন গণপরিবহনে নিরাপদ নয়। এখানে কোন মুখ নিয়ে দাড়িয়েছি জানি না। আমাদের দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে, প্রায় সকল ধরনের অপকর্ম থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে তার পরিবর্তন ঘটাতে হবে নাহলে এর প্রতিকার সম্ভব নয়।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় সারাদেশে চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে আরেকদফা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *