ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে ‘৭১’র চেতনা’ বাঙলা কলেজ শাখার মানববন্ধন

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে ‘৭১’র চেতনা’ বাঙলা কলেজ শাখার মানববন্ধন

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় ৭১`র চেতনা, বাঙলা কলেজ শাখা’র উদ্যোগে নারী নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে এবং নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিসহ মোট ৮ দফা দাবিতে বাঙলা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

উক্ত কর্মসূচীতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থেকে ৭১’র চেতনার দাবির সাথে তাদের সম্মতি প্রকাশ করেন। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পলাশ বলেন, ধর্ষকদের কোন পরিচয় নেই,তাদের কোন ধর্ম নেই, তাদের কোন জাত নেই; তারা অমানুষ, সমাজের কীট। আমরা এদের সর্বোচ্চ শাস্তীর দাবি জানাই।

এছাড়াও কলেজের একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বাঁধন, যুব থিয়েটার, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভীন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মতি প্রকাশ করে।

সংগঠনটির কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দু লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। ৭১ সালে ধর্ষণ করত পাকিস্তানিরা।

এখনো এই স্বাধীন দেশে যারা নারী নিপীড়ন করে তারা জেনারেল নিয়াজীর সন্তান। তাদের এই দেশে থাকার কোন অধিকার নেই। এদের সর্বোচ্চ শাস্তী মৃত্যুদন্ডের বিধান প্রণয়ন করে নতুন আইন করার দাবি জানাই আমরা। আমরা ধর্ষকদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, মনে রাখবেন আপনারা যদি নিয়াজীর সন্তান হন, তাহলে ৭১ এ যেমন নিয়াজীর সন্তানরা ছিল তেমনি দেশমাতৃকার জন্য জীবন বিসর্জন দেওয়ার মতো বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাও ছিল। আপনারা যদি তাদের উত্তরসূরি হন তাহলে মনে রাখবেন এই প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীরাও আছে। আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম সকল ধরনের ধর্ষণ নিপীড়ন বন্ধ করে ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়বই।

জাফর ইকবাল আরো বলেন সেই সাথে আমরা সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করব,ধর্ষকের সাথে কোন ধর্মীয় কিংবা সাংগঠনিক রাজনৈতিক ট্যাগ লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কারন এই ধরনের ট্যাগ লাগালে বিচার সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত ব্যক্তিও যদি একই ঘরানার হয় তাহলে অপরাধীর সিমপ্যাথী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ন্যায় বিচার ব্যহত হওয়ার আশংকা থাকে।

সভাপতি ফয়সাল হোসেন নোলক ৮ দফা দাবি সম্পর্কে বলেন,
১/ ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২/যেকোন ধরনের নারী নিপীড়ন মুলুক মামলার বিচার(৬০- ৯০) দিনের মধ্যে যেকোন মূল্যে সমাপ্ত করতে হবে।

৩/নারী নিপীড়ন মামলার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
৪/আদালতে ঝুলে থাকা দেড় লক্ষাধীক নারী নিপীড়নের মামলা আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৫/ ধর্ষিতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৬/ শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।
৭/ধর্ষিতার চিকিৎসার ব্যয় এবং আইনী লড়াইয়ের সম্পূর্ণ ব্যায় রাস্ট্রকে বহন করতে হবে।

৮/কোন দলীয় রাজনৈতিক মদদে কিংবা প্রশাসনের মদদে কোন নারী নিপীড়ন হলে সেক্ষেত্রে অপরাধীর প্রতি কোন ধরনের সিমপ্যাথী দেখানো যাবে না।

আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে এই আট দফা দাবি বাস্তবায়ণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *