ধর্ষণের সর্বাধিক শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

ধর্ষণের সর্বাধিক শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর খসড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উঠছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিতের জোরালো দাবির মুখে সোমবার (১২ অক্টোবর) আইন সংশোধনের এ প্রস্তাব উঠছে মন্ত্রিসভায়।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল আইন আর প্রতিবাদেই রাশ টানা যাবে না যৌন সহিংসতার। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে। পাশাপাশি বদলাতে হবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।

প্রতিবাদে ফুঁসছে সারা দেশ। জোরালো হচ্ছে ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের বিচার ও সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের দাবি। নড়েচড়ে বসেছে রাষ্ট্রও।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫টি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনেই ৭০টির বেশি ধর্ষণের খবর ছেপেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক দৈনিক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজে প্রোথিত নারী-বিদ্বেষ, অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও পার পেয়ে যাওয়ায় সংস্কৃতির কারণেই কমছে না এ ধরনের অপরাধ। আর সেক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক সাইদুর রশিদ সুমন বলেন, বিচার প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে অপরাধী বা ধর্ষকবান্ধব। ভিকটিম বান্ধব না। একটা ধর্ষক ভাববে, আমার বিচার হবে না। বিচার হলেও মানুষ মনে ভাববে না।

তিনি আরও বলেন, একজন ধর্ষক মনে করেন আমার বিচার হবে না। আমার বড় ভাই এবং গডফাদাররা আমাদের বিচারের কাঠগড়া থেকে টেনে তুলবেন। তাইলে আপনি মৃত্যুদণ্ড কেন, আরও অনেক কঠোর আইন করেও এ জাতীয় সামাজিক অপরাধ বন্ধ করতে পারবেন না।

সামাজিক আন্দোলনের রাজনীতিকরণও অনেক সময় মূল উদ্দেশ্য আদায়ে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য তাদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *