ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেকৃবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীদের

ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেকৃবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীদের

মাজেদুল ইসলাম, শেকৃবি প্রতিনিধি


ধর্ষন আর ধর্ষন!খবরের পাতা উল্টালে রোজই কোথাও না কোথাও ধর্ষনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।ধর্ষকের হিংস্র থাবা থেকে ঠাই মিলছে না ৬ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধাও এমনকি প্রতিবন্ধীরাও।

কেউ আমায় একটু শক্ত আঁচল দাও, আমি আমার লজ্জা ঢাকি এমনটাই হয়ে গেছে এখন বাংলাদেশের অবস্থা ।

ধর্ষন হলো জোরপূর্বক দৈহিক মেলামেশা করা।আজকে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।যেখানে মেয়ে তার বাবার কাছে,শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে সেখানে একজন মেয়ে বা নারী কার কাছে আশ্রয় খুজবে?

গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়-
২০১৮ সালে সারাদেশে ধর্ষন ৯৪২ জন।২০১৯ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ১ হাজার ৪১৩ জন।এবছর তো প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর পড়তে পড়তে কান পচে যাচ্ছে।

মানবিকতা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
নৈতিক অবক্ষয়ের চরম তলানিতে পড়ে গেছি আমরা।

আমরা অনেক সময় ধর্ষকদের বিভিন্ন দল বা ধর্মের নামে চালিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটানোর চেস্টা করি।আসলে ধর্ষকের কোন জাত- পাত বা দল নাই।ধর্ষক ধর্ষকেই।

ধর্ষনের প্রতিবাদে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ আজ(২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে মানববন্ধন করে।শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের সর্বোচ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়ার তীব্র দাবি জানায়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেকৃবির ৭৭ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী -আশিক আল মাহবুব ” দি ক্যাম্পাস টুডে” কে বলেন,ধর্ষণ একটি মানবতা বিরোধী অপরাধ। ধর্ষণ মানে কাউকে খুন করা। খুনির বিচার যেমন মৃত্যুদন্ড ঠিক তেমনি ধর্ষকের বিচারও হওয়া উচিত অনতিবিলম্বে মৃত্যুদন্ড; তবেই এই ঘৃণ্য অপরাধ বাংলার মাটি থেকে নির্মূল হবে বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর এ বাংলায় ধর্ষকের কোন স্থান নেই। ধর্ষককে স্থান দেয়া মানেই সেটি হবে সোনারবাংলা বিনির্মানের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।

একই ব্যাচের এগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থী মোঃদেলোয়ার হোসেন বলেন,আজকাল ধর্ষণ একটা ধারাবাহিক ঘটনা হয়ে গেছে। প্রতিদিনি ফেইসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণ এর খবর প্রকাশিত হচ্ছে।আমার মনে হয় ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত না করলে ধর্ষণ এর সংখ্যা কমানো সম্ভব না। কতো আর মুখ বুজে সহ্য করবো আমরা।

কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ বা স্বজনপ্রীতির দরুণ যেন কোন ধর্ষক রেহাই না পায় সে বিষয়ে সর্বসাধারণের সচেতন হওয়া দরকার এবং সবাইকে একাত্ম হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এখনেই।

আর এর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলি আমাদের পরিবার থেকেই।সরকারের কাছে ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে পাথর মেরে নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড বা পাবলিক প্লেসে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড করার জোর দাবী জানাচ্ছি যাতে কোন পুরুষ আর নারীদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকানোর সুযোগ না পায় নতুবা আজ অন্যর বোন ধর্ষিতা হবে কিন্তু পরশু আমার বোন ও ধর্ষিতা হতে পারে!!!

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *