নাগরিকত্ব সনদ দেখাতে না পারায় বিজন শীলকে গণস্বাস্থ্য থেকে অব্যাহতি

নাগরিকত্ব সনদ দেখাতে না পারায় বিজন শীলকে গণস্বাস্থ্য থেকে অব্যাহতি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘জিআর-কোভিড-১৯ র‌্যাপিড টেস্ট’ কিট উদ্ভাবনে গবেষক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল বাংলাদেশের নাগরিক নন। এই বিজ্ঞানী নাগরিকত্বের সনদ দেখাতে না পারায় তাকে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অব্যাহতি দিয়েছে। এ বিষয়ে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. লায়লা পারভীন বানু সাংবাদিকদের বলেন, ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ওনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে বিজন শীল দেশ বলেন, প্রথম ভিসার নীতিমালায় কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকলেও ভিসা নবায়ন করার পর এ বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি, দ্রুতই জবাব পাওয়ার আশায় আছি।

জানা গেছে, বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্যের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কর্মকর্তা পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে জমা দেন। তার গাফিলতির কারণে বিজন কুমার শীলের পাসপোর্ট নবায়ন হয়নি।

বিজন কুমার শীল বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করলেও তার মেয়াদ গত ১৬ মে শেষ হয়। ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট আত্মসমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কভিড-১৯ গবেষণা বিভাগের সমন্বয়কারী ডা. মুহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, গত জুলাইয়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা যখন আবেদন করি তখন সরকার তাকে যে ভিসা দেন- সেই ভিসা দিয়ে উনি কাজ করছিলেন। সে জন্য পরবর্তীতে আবার ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।

তিনি বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক দফা নাগরিকত্ব সনদের প্রমাণ দিতে বলা হলেও তিনি দিতে পারেননি। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিজন শীল নাটোরের বনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানো ভ্যাকসিন, ২০০২ সালে ডেঙ্গু ও ২০০৩ সালে সার্চ ভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্টের কিট উদ্ভাবন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *