পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক দ্বারা শোষণ, লাঞ্ছনার স্বীকার
![পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক দ্বারা শোষণ, লাঞ্ছনার স্বীকার](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/08/194321bullied_copy_700x391.jpg)
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
নাদিয়া আশরাফ, পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনবিক মেডিসিন ও গবেষণা বিভাগের একজন পিএইচডির শিক্ষার্থী ছিলেন। বলা হচ্ছে, সম্প্রতি তিনি তাঁর পিএইচডি সুপারভাইজার ড. ইকবালের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নাদিয়া প্রায়ই তাঁর বন্ধুদের বলতেন, ড. ইকবাল আমার পিএইচডি পেতে অনুমতি দেবেন না। আমি জানি না, তিনি আমার কাছ থেকে কি চান।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুসারে, পাকিস্তানের একশ দুই মিলিয়ন নারীর মধ্যে কেবল পাঁচ দশমিক শূন্য সাত শতাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেন। পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরামর্শদাতার আড়ালে অধ্যাপকরা নাদিয়াদের মতো শিক্ষার্থীদের শোষণ, লাঞ্ছিত করেন। গ্রেড কমিয়ে দেয়া বা সামাজিক চাপের হুমকির মুখে শিক্ষার্থীরা কথা বলতেও পারেন না বলে এক নিবন্ধে লিখেছেন নাবিলা ফিরুজ।
কয়েকবছর ধরে দেশটির সরকারি ও বেসরকারি; উভয় ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযোগ করতে চেষ্টা করছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়াদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়, বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়সহ আর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা গণমাধ্যমে এসছে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বক্সও বসানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: নয়া দৌড়।