পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে শিক্ষামন্ত্রীর সম্মতি

পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে শিক্ষামন্ত্রীর সম্মতি

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় পাবলিক হেলথ বিষয়ক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের ‘বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের দাবির বিষয়ে তিনি বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

এদিন রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) অডিটোরিয়ামে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষের পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিষয় পড়ানো সম্ভব। এটি বিশেষায়িতও হতে পারে। বাংলাদেশে নানা বিষয়ের ওপর বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এটি একটি নির্দিষ্ট খাতকে অনেক এগিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে একটি পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বে পাবলিক হেলথকে স্পেশালাইজড অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে এ খাতেই সর্বোচ্চ ফোকাস করা হয়।

পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতিক দুর্যোগ, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণক্ততা, ডেঙ্গু-করোনার মতো নানাবিধ রোগে দেশের মানুষকে ভুগতে হয়। এসব বিষয়ে পাবলিক হেলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, একটা সময় আমরা পাবলিক হেলথকে এতটা গুরুত্ব দিতে চাইনি। কিন্তু করোনা মানুষকে পাবলিক হেলথের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনো আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে পাবলিক হেলথকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

পাবলিক হেলথ বিষয়ে বহির্বিশ্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমপিএইচ করা চিকিৎসককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তারা পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্টকে এগিয়ে রাখেন। তাদের মতে একজন পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ সাধারণ চিকিৎসকদের তুলনায় সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্নভাবে দেখেন। যা রোগীর পাশাপাশি হাসপাতালের সামগ্রিক উপকারে আসে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *