পুলিশ কেন ছাত্র ‘পেটাল’? পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ‘মামলা’

পুলিশ কেন ছাত্র ‘পেটাল’? পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ‘মামলা’

আন্তর্জাতিক টুডেঃ ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ঘটেছে।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নাজমা আক্তারও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছেন তিনি।

রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় সারাদেশে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পুলিশকে অনুমতি কে দিয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চান তিনি। বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে কেন প্রবেশ করল পুলিশ? শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্য কেন করা হলো, সেসব জানতে চাওয়ার পরেও থেমে থাকেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, “দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দেশের অন্যান্য শহর ও ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেনি ভারতের পুলিশ। সেটাও আবার কোনো নারী ভাইস চ্যান্সেলর! এখন যুতসই কোনো জবাবও দিতে পারছে না পুলিশ।

এদিকে আইপিএস কর্মকর্তারা একেকজন একেক কথা বলছেন। একজন গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন, আসলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চায়নি, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে গিয়ে দৌড়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হঠাৎ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আক্তারের কাছে এমন উত্তর গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গেছেন। দায়ীদের তিনি কাঠগড়ায় নেবেনই বলে জানতে চান, কেন ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা হলো?

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *