পূর্ব পরিকল্পনা থেকে হত্যা করা হয় আবরার

পূর্ব পরিকল্পনা থেকে হত্যা করা হয় আবরার

জাতীয় টুডে: গেস্টরুমে পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার সিদ্ধান্ত নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত ৫ অক্টোবর শেরে বাংলা হলের গেস্টরুমে (অতিথিকক্ষে) অভিযুক্ত আসামিদের কয়েকজন সভা করেন। সেই সভায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার। পরদিন দিবাগত রাতে আবরারকে হত্যা করা হয়। আবরার হত্যা মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্রে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আবরার হত্যার ‘মূল হোতা’ হিসেবে শেরে বাংলা হলে তার রুমমেট মিজানুর রহমানকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মিজানুর রহমানই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিনকে বলেছিলেন, ‘আবরার ফাহাদকে তাঁর শিবির বলে সন্দেহ হয়।’ মিজানের দেওয়া শিবির করার ‘তথ্যের’ ভিত্তিতে তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উঠে এসেছে।

পুলিশের এই অভিযোগপত্রে উঠে এসেছে, কতটা পৈশাচিক নির্যাতন করে আবরারকে হত্যা করা হয়। এমনকি কে কখন কীভাবে আবরারকে নির্যাতন করেছে, কার কী ভূমিকা ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া আছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ক্রিকেট স্টাম্প এবং মোটা দড়ি দিয়ে নির্যাতন করার একপর্যায়ে আবরার ফাহাদ বমি ও প্রস্রাব করে ফেলেন। এরপর তাঁকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। বদলানো হয় তাঁর জামা-কাপড়।

উল্লেখ্য, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এবং ১৭ তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আবরার। আবরার হত্যার ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ২৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে আবরারকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

দ্যা ক্যাম্পাস টুডে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *