প্রভোস্টের কড়া নোটিসে বিপর্যস্ত শেকৃবি শিক্ষার্থীরা
![প্রভোস্টের কড়া নোটিসে বিপর্যস্ত শেকৃবি শিক্ষার্থীরা](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/08/resize1598033735298.jpg)
মাজেদুল ইসলাম
শেকৃবি প্রতিনিধি
করোনা মহামারীর প্রকোপে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও (শেকৃবি) আজ জনশূন্য। স্থবির হয়ে আছে ক্যাম্পাসের কোলাহলময় জনজীবন।
জানা যায়, গবেষণা ও থিসিসের জন্য জীবনের ঝু্ঁকি নিয়েও আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতেছে বেশকিছু দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী।
তন্মধ্যে বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা অনেক ঝুঁকি হওয়ার দরুণ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলে অবস্থানরত বেশ কিছু শিক্ষার্থী ডাইনিং ম্যানেজার জাকির আহমেদের সাথে পরামর্শ করে রান্নার ব্যবস্থা করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমন ঘটনায় হল প্রভোস্ট বিষয়টা অবগত হওয়ার পর শিক্ষার্থীবান্ধব না হয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেন।
নবাব সিরাজ -উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ইসহাক-
ডাইনিং এ চলমান রান্না কার্যটি
বন্ধ ঘোষণা করেন পাশাপাশি একটি জরুরি নোটিস দেন।
নোটিসে উল্লেখ করা হয়, সরকার ঘোষিত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হলের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বিধায় নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত হল গেইট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। হলে অবস্থানরত ছাত্র ব্যতীত অন্য কোন ছাত্র হলে যাতায়াত করতে পারবে না।
নোটিসে আরও বলা হয়, সারাদিনে দুইবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং বিকাল ৫ টা থেকে বিকাল ৬ টার মধ্যকালীন সময়ে হলে আসা যাওয়া করা যাবে।
ফলে অবস্থারত শিক্ষার্থীরা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে হলে সর্বনিম্ন ৩ বার খাওয়া দরকার। তার উপর যে সময় জুড়ে দেওয়া হয়েছে, এ সময়ে কি হোটেলগুলোতে খাবার পাওয়া সম্ভব? এমনিতেই প্রশাসন রান্না করা বন্ধ করে দিলো তার উপর এভাবে ভাতে মারার বুদ্ধি করা কত্তটা ন্যায়সংগত।
তারা আরও বলেন, নবাব সিরাজ -উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড.ইসহাক নিজেইতো বেআইনিভাবে ৪-৫ বছর ধরে ক্ষমতায় বহাল আছেন। দায়িত্বের মেয়াদ শেষ এমন প্রভোস্টের পাষবিক এ নোটিসকে আমরা বুড়ো আঙুল জ্ঞাপন করতেছি।