বইমেলা হচ্ছে, মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি

বইমেলা হচ্ছে, মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মানতে বলা হচ্ছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। এ অবস্থায় আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। মেলায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হওয়ার কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।

তবে ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাথায় রেখে স্টল বিন্যাস থেকে শুরু করে প্রবেশাধিকার বা লোক সমাগম সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শুধু সামাজিক দূরত্ব নয়, স্টল থেকে স্টলও দূরত্ব বজায় রেখে তৈরি করা হবে। সবকিছু মাথায় রেখে আগামী বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।

কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেখানে সবাইকে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া করোনার কথা মাথায় রেখে করা হবে স্টল বিন্যাস। প্রবেশাধিকার ও লোক সমাগমও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী বইমেলার জন্য সব প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করছি। সরকারি নির্দেশনা মেনে মেলার আয়োজন করা হবে।’

বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে এবার স্টল দূরত্ব বজায় রেখে তৈরি করা হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। একাডেমির পক্ষ থেকে কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশকদের আগ্রহপত্র চাওয়া হবে। এর ভিত্তিতেই মেলার বিন্যাস ও নকশা তৈরি হবে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রকাশকদের দুটি সমিতির সঙ্গে বাংলা একাডেমির আলোচনা হয়েছে। সেখানে সবাই ডিজিটাল নয়, প্রচলিত মেলার বিষয়ে মত দিয়েছেন। একই মত বিশিষ্ট লেখকদেরও। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকেও মেলার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানা গেছে। এছাড়া আগামী বুধবার একাডেমিতে কাউন্সিল মিটিং রয়েছে। সেখান থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসতে পারে।

কোনোভাবেই স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নয় উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির এই পরিচালক বলেন, ‘আগামী বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় জিরো টলারেন্স থাকবে। গ্রন্থমেলা আমাদের একটি আলো, যেখানে প্রগতিশীলতার পক্ষে কথা বলি। এ আলো জ্বালিয়ে রাখতে হবে।

সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকেও ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। তবে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। অবশ্য চলমান পরিস্থিতিতে বইমেলা না হওয়ার কারণ কেউ দেখছেন না।

এদিকে আগামী বইমেলার পরিসর আগের মতোই থাকলেও স্টল কমতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, আমরা প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচাতে চাই, একইভাবে চাই লেখকদের নতুন বই আসুক। পাঠকরাও তাদের মনের খোরাক মেটাক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *