মায়ের উপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রক্তাক্ত গেঞ্জি খুলবেন না ছেলে

ডেস্ক রিপোর্ট


‘এই যে আমার রক্তমাখা ড্রেসটা দেখছেন, সেটা হলো আমার মাকে কোলে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মায়ের মাথার রক্তমাখা জামা। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে তুমি এই জামা কেন পাল্টাওনি? আমি বলেছি, আমার মাকে মারার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমার প্যান্ট পাল্টাবো কিন্তু আমার গেঞ্জি পাল্টাবো না।’

জানা যায়,  গত রবিবার থেকেই সেই রক্তমাখা গেঞ্জি পরা অবস্থায় মাকে পিটিয়ে আহত করার বিচারের দাবি করছেন ২১ বছর বয়সি আমির হামজা। পাশাপাশি ন্যায় বিচার

না পাওয়া পর্যন্ত মায়ের রক্তমাখা গেঞ্জি পাল্টাবেন না বলে পণ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হামজা।

হামজা জানায়, মাদক বিক্রি ও বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় কারণে তাদের ওপর এ হামলা করা হয়। হামলায় তার মা আফরোজা বেগম, পিতা মুনতাজ আলী, বড়ভাই হাসিবুর রহমান, বোন রাবেয়া ও আমির হামজা আহত হয়। তাদের বাড়ি কুলিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার পাশে। হামজার বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী।

হামজা আরও  বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে কয়েকটি দোকান ও একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে। এসব দোকানে সারাক্ষণ বখাটেদের আড্ডা চলতো। পাশাপাশি পরিত্যাক্ত বাড়িতে মাদক সেবীদের আড্ডা বসে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করি। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে বাড়ির কাছেই আমার ছোটভাই নাইমকে হামলাকারীদের পক্ষের ছেলেরা মারধর করে। এঘটনায় ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে ঝিকরগাছা থানায় জানিয়ে আসি। পরদিন সন্ধ্যার একটু আগে আদম, বাবু, হাবু, রিমন, বকতিয়ার, রোকন, আকাশসহ ২০/২৫ জন আমাদের বাড়িতে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। এসময় তারা আমার মা, বাবা, বোন, বড় ভাই ও আমাকে বেদম মারধর করে। তাদের হামলায় জখম হয়ে আমার মা ও বড়ভাই হাসিবুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি হয়।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হাসিবুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল সোমবার ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, এবিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের আর বিচারের বিষয়টি আদালতের।

Scroll to Top