বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা, ভিসিসহ শীর্ষ ৫ প্রশাসনিক পদ শূন্য

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা, ভিসিসহ শীর্ষ ৫ প্রশাসনিক পদ শূন্য

ববি টুডেঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষ ৫ প্রসাশনিক পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের মাঝে হাতাশা ও গা ছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ২৭ মে ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্য শূন্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।তবে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড.এ কে এম মাহবুব হাসান বেশ কিছুদিন ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও গত ৭ অক্টোবর তার মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন এ পদটিও ফাঁকা রয়েছে।আবার একই দিনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফজলুল হকের মেয়াদ শেষ হলে তিনিও ট্রেজারারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই কোনো উপ-উপাচার্য না থাকায় এখন পুরোপুরি অভিভাবক শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি। রেজিস্ট্রার পদ শূণ্যাবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও অচলপ্রায়। আটকে আছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা, ফলাফল। এতে সেশন জট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মাঝে একটি অনুষদ ছাড়া বাকি অনুষদগুলোর ডিনের দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য। ফলে ওইসব বিভাগের পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশসহ সকল কার্যক্রম স্থবির রয়েছে।

এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ভিসি না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।এমনকি স্থগিত হয়ে আছে শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না ছয় মাস ধরে। এ কারণে সিলেবাস ও ফলাফল কার্যক্রম অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। খণ্ডকালীন শিক্ষকও নিয়োগ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া খুবই জরুরি ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিষ্টার মো. মিলন বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না ফলে একাডেমি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থমকে যাবার মতো । খুব শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদ ছাড়া চলতে পারেনা। এটা সত্যিই আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।
উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদ শূণ্য থাকায় যেমন শিক্ষার্থীদের হতাশ করছে তেমনি জাতির কাছেও এটা একটি উদ্বেগের বিষয়।

তিনি আরও বলেন,আমরা শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনিক কাজে নানা জটিলতায় ভুগছি যেমন সার্টিফিকেট, মার্কসিট উঠানো নিয়ে জটিলতা।পাশাপাশি একাডেমীক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। সেইজন্য আমাদের সেশনজটের আশঙ্কা হচ্ছে।

তিনি এ অবস্থার পরিত্রাণ চেয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য দ্রুত নিয়োগ দিবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র ববি প্রতিনিধি ফারিয়া জাহান।



সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *