বশেমুরবিপ্রবিতে ল্যাব নির্ভর বিভাগে নেই ল্যাবের অস্তিত্ব

টুডে ডেস্ক Avatar

ক্যাটাগরি : , ,

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নূন্যতম সুযোগ সুবিধাসহ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ হাসিনা কৃষি ইনিস্টিউটের অধীনে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করে লাইভস্টক এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ (এলভিএম)।

স্বপ্নের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষাজীবন পার করছে
লাইভস্টক এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের (এলভিএম) শিক্ষার্থীরা।



মূল ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কুশলীতে অবস্থিত এই বিভাগটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, দুইটি ব্যাচের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি ক্লাসরুম রয়েছে। টিনশেডের সেই ক্লাসরুমটিতেও বৃষ্টির ফলে পানি পড়ছে, ফ্যানগুলো ব্যবহার উপযোগী নয় এবং শিক্ষার্থীর তুলনায় আসনসংখ্যাও অপর্যাপ্ত।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের মূল ক্যাম্পাস থেকে অনেক দূরে কুশলীতে গিয়ে ক্লাস করতে হয়। সেখানে ক্লাসরুম,ল্যবরুমসহ কোনো সুযোগ সুবিধাই নেই। টিনশেড ক্লাসরুমে ফিসারিজ বিভাগের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে ক্লাস করতে হয় আমাদের। প্রচন্ড রোদ কিংবা বৃষ্টিতে ক্লাস করা সম্ভব হয়না আর ল্যাব এর সুবিধা একেবারেই নেই। এসকল বিষয়ে চেয়ারম্যান পুরোপুরি উদাসীন। আমরা একবাধিকবার তার সাথে এ ব্যাপার এ কথা বললেও তিনি কোনো ব্যবস্থা ই নেন নি। আর পূর্বের উপাচার্যের সাথে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় আমরা এসবের প্রতিবাদও জানাতে পারিনি।”

আরেক শিক্ষার্থী জানান, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমি নিজ হাতে নিজের জীবনকে নষ্ট করেছি। আমাদের সাবজেক্টটি যেখানে সম্পূর্ণ ল্যাব নির্ভর সেখানে ল্যাবের নূন্যতম সুযোগ নেই। এভাবে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে আমি ভবিষ্যতে কি করবো তা নিয়ে শঙ্কিত”

এদিকে বিভাগটির দূরাবস্থার কথা শিকার করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরাও। তারা জানান এ বিষয়ে তারা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব দেননি এবং সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সমস্যাগুলোর ব্যাপারে জানতে বিভাগটির চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুজ্জামানকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, মূল ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কুশলীতে অবস্থিত এই বিভাগটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, দুইটি ব্যাচের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি ক্লাসরুম রয়েছে। টিনশেডের সেই ক্লাসরুমটিতেও বৃষ্টির ফলে পানি পড়ছে, ফ্যানগুলো ব্যবহার উপযোগী নয় এবং শিক্ষার্থীর তুলনায় আসনসংখ্যাও অপর্যাপ্ত।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

This will close in 5 seconds