বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর কর্মচারীর হামলা

বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর কর্মচারীর হামলা

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী শিক্ষার্থীদের জামাত-শিবির বলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে সোমবার (০৮) দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

অবরুদ্ধ রাখার মাঝে এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং রুমের ভিতরেআন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর কর্মচারীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, “সোমবার (০৮ মার্চ) ৫০১ নং রুমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্যের সাথে কথা বলতে গেলে ওয়ালিদ নামে এক কর্মচারী শিক্ষার্থীদের জামাত-শিবির বলে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা উপচার্যসহ কক্ষে উপস্থিত সকলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থী উপদেষ্টাসহ কয়েকজন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্যসহ অবরুদ্ধ শিক্ষক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে পুনরায় ৫০১ নং রুমে প্রবেশ করে। এসময় হঠাৎই কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুলসহ বেশ কয়েকজন রুমেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে রুম থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়।”

অভিযুক্ত তরিকুল তরিক অভিযোগ অস্বীকার বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ তথা মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমরা একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং রুমে মিটিং করছিলাম। হঠাৎ শিক্ষার্থীরা আমাদের অবরুদ্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কয়েকজন শিক্ষক রুমে প্রবেশ করলে আমরা বের হতে যাই। এসময় শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে। সেই সঙ্গে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে পাঁচ কর্মচারী আহত হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ইউজিসি কর্তৃক ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে আন্দোলন করছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্যকে অবরুদ্ধের বিষয়ে মুখপাত্র কারিমুল হক জানিয়েছেন, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন এর দাবিতে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইতিহাস বিভাগের সকলকে জামাত-শিবির বলায় উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ দিকে শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির বলে মন্তব্য করার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলত্বি উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন কিছু ডাকার ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, সকালে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রবেশ করতে না পারায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালনা করতে পারেননি।

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিন ইউজিসির অনুমোদন ব্যতীত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় ৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওইদিন রাত থেকেই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *