বশেমুরবিপ্রবি : অপেক্ষামান শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন

বশেমুরবিপ্রবি : অপেক্ষামান শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একাংশ ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।

আজ (মঙ্গলবার ) সকালে এ ইউনিট, বি ইউনিট, এফ ইউনিট, এইচ ইউনিট এবং ই ইউনিটের মোট আটজন শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন।

এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবিতে আসন ফাঁকা থাকার পরেও তাদেরকে ভর্তি নেয়া হয়নি আর এর ফলে তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ই ইউনিটে( ১৩৫৭ সিরিয়াল) অপেক্ষামান শিক্ষার্থী মো: নাইম হোসেন ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “আমরা ভর্তি হতে আসা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি এখনও অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই আমরা আশা করেছিলাম আমাদেরকে ডাকা হবে।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এই ফাঁকা আসনের বিপরীতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে ডাকে নি।

শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সমাধান পাইনি।”

কুমিল্লা থেকে আগত এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমরা বিষয়টা নিয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ অথবা ৮ তারিখের দিকে উপাচার্যকে চিঠিও দিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।”

এছাড়া এইচ ইউনিটে ৪২৭ সিরিয়ালে থাকা মোঃ হুমায়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরের একজনের মাধ্যমে জেনেছি এখনও ৩৩০ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই এইসকল ফাঁকা আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।”

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার বলেন, “আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো।

যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া হয়েগেছে প্রায় এক বছর আগে আমি এখন কিভাবে স্টুডেন্টদের ভর্তি করাই। আর এখম যদি নিয়ম ভঙ্গ করতে হয় তাহলে এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং এ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সাথে ইউজিসির অনুমতি লাগবে। এছাড়া এ মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং আমি ঢাকাই আছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে কথাবার্তা বলা যেতো।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *