বশেমুরবিপ্রবি: ক্যাম্পাসে প্রথম বর ও কনের গায়ে হলুদ

বশেমুরবিপ্রবি: ক্যাম্পাসে প্রথম বর ও কনের গায়ে হলুদ

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বাঙালি সংস্কৃতির বহুল প্রচলিত উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উৎসব গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদ মূলদ একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, যা প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত। বাঙালী বিয়ের যে কয়টি পর্ব পালিত হয় তাঁর মধ্যে অন্যতম বর্ণিল ও বর্নাঢ্য পর্বটিই হচ্ছে গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদ আয়োজন ঘিরে থাকে নানান পরিকল্পনা ও উচ্ছ্বাস!

আগের দিনে বাড়ির উঠোন কিংবা ছাদেই সেরে ফেলা হতো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। শামিয়ানা টানিয়ে বর-কনের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা হৈচৈ করে হলুদ মাখিয়ে গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা সারতো। গত কয়েক বছরে নগর সভ্যতায় রেস্তোরাঁর হল, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে গায়ে হলুদের আয়োজন করতে দেখা গেছে।

তবে সম্প্রতি গায়ে হলুদের আয়োজনে দেখা গিয়েছি নতুন এক ব্যতিক্রমী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গায়ে হলুদের আয়োজন হয়েছে তাদের ক্যাম্পাসেই। এমনই এক ভিন্নধর্মী গায়ে হলুদের স্বাক্ষী হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে একদল তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যাচ্ছে পথচারীদের। সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছে, কি হয়! ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের আয়োজন যে বশেমুরবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম। বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরির মধ্য দিয়ে বশেমুরবিপ্রবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী জুয়েল এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গায়ে হলুদের এ আয়োজন বর এবং কনের পরিবারের লোকজন কেউ করেননি। বিয়ের অনুষ্ঠানে সব বন্ধুরা উপস্থিত থাকতে পারবেনা বলেই ক্যাম্পাস এমন ভিন্নধর্মী এ গায়ে হলুদ আয়োজনের আয়োজন করে তাদের সহপাঠীরা।।

চিরাচরিত গায়ে হলুদের নিয়মের মতই হলুদ, মেন্দি মাখিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে সকল আনুষ্ঠিনকতা। হলুদে তাদের বন্ধুরা সহ অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের খবরে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মগুলো।

এ ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে আশার বন্ধু রাফি জানান ‘বিয়েতে সবার পক্ষে আশার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না তাই বান্ধবীর বিয়ের মজা করার জন্য ক্যাম্পাসে এই হলুদের ব্যতিক্রমী আয়োজন। আমরা সব বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে এই আয়োজন করেছি, এই আয়োজনে আমাদের বিভাগের সকল সিনিয়র এবং জুনিয়ররা সহযোগীতা করেন।’

কনে আশার কাছে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ আয়োজনের অনুভূতি জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *