বশেমুরবিপ্রবি: বৃষ্টির মধ্যে শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা

বশেমুরবিপ্রবি: বৃষ্টির মধ্যে শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা চলছে বৃষ্টির মধ্যে শামিয়ানার নিচে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাধা দিয়েছেন দায়িত্বরত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো নেসারুল হক ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো রোকনুজ্জামান।

শুক্রবার ( ০৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ এবং ‘এইচ’ ইউনিটে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন উন্মুক্ত স্থানে শামিয়ানার নিচে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বৃষ্টির পাশাপাশি রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর স্বল্পতা। আলোর স্বল্পতা দূর করতে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলেও শিক্ষার্থী অনুযায়ী তা পর্যাপ্ত ছিল না।

এতকিছুর মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন অনেক কষ্টে। বৃষ্টির পানিতে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েমার শিট ভিজে গেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে বাধা দেন দায়িত্বরত ওই দুই শিক্ষক। এসময় তারা সাংবাদিক দেখে নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলেন।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো নেসারুল হক বলেন, ” পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের কক্ষে প্রবেশের অনুমতির কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । কিন্তু তিনি ( ইত্তেফাক, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি) কোন অনুমতি ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রুমে ঢুকে ছবি তুলছিলেন, নিরাপত্তার (প্রশ্নের ছবি ফাঁস) কথা চিন্তা করে তাকে ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় । এছাড়া তাকে বাইরের থেকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে , এতে কেউ বাধা দিবে না।”

এদিকে পরীক্ষায় দায়িত্বরত ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো রোকনুজ্জামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার ব্যস্ত পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান বলেন, “পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য কোন কক্ষে প্রবেশের প্রয়োজন হলে অনুমতির দরকার আছে। তাছাড়া বাইরের থেকে সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কারো বাধা দেয়ার কথা না। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বৃষ্টির কারণে শামিয়ানার নিচ থেকে অনেক শিক্ষার্থীকে অন্যত্র নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *