বসন্তের এক বিকেল

বসন্তের এক বিকেল

সুপর্না রহমান, গবি


বসন্ত বাতাসে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুরা মেতে উঠেছে। হাওয়া বদলের জন্যে গুগল ম্যাপে ঘোরাঘুরি করছে ওরা। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে বংশী নদী৷ দুপুরে খেয়ে সেদিকেই ছুটলো রথী মহারথীরা।

সাভারের থানা স্ট্যান্ড হতে রিক্সায় ১০ টাকা। নেমেই চোখ হকচকিয়ে যাবে। পাশে বিশাল খাদ এখানে চলছে ক্রিকেট খেলা। সামনে এগুলেই নদী আর মাঠের পর মাঠ। বিকেলের রোদ মাখা আলো ও বাহারি নৌকা দেখে চোখ জরিয়ে যাবে নিমিষেই।

নদীর ওপারে রাক্ষস রাজার মতো মুখ আর কিছু বাতি জ্বলছে। এই উচু নিচু রাস্তা মিলেছে নদীর তীরে। সেখানে ফুচকা, বাদাম নিয়ে বসে আসেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা।

একসময় বংশী নদীকে ঘিরে কৃষি ও শিল্পে নির্ভর ছিল রাজধানী ঢাকা। বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য পরিচিতি পায় এই জলপথ। সেই খরস্রোতা নদী এখন মৃত প্রায়। পাল বিহীন নৌকায় নদী আমাদের পার করে দিল মধ্যবয়সী মাঝি।

নীলাবর্ষা পার্কের ক্যাফে থেকে ভেসে আসে গানের আওয়াজ। মনটা গানের তালে ফুরফুরে হয়ে গেল। এখানে সব বয়সের মানুষেরই আনাগোনা চোখে পড়লো।

পাথরের তৈরি ঝর্ণা এই পার্কের প্রধান আর্কষণ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠতে হয় উপরে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বন্ধুদের সাথে সময় কাঁটাতে এখানে আসা। ক্যাম্পাসের পাশে বংশী নদী আর নদীর পাশে এই পার্ক। আড্ডা দেবার জন্য দারুণ পরিবেশ।

বাচ্চাদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা রয়েছে। রংবেরঙের পশু পাখিতে সাজানো চারদিকে। কেউ বাঘের সাথে মুখের ভংগিমা পাল্টিয়ে ছবি তুলছে। কেউ ডলফিনের সাথে, কেউ মৎসকুমারীর সাথে৷

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। আলোও ফুরিয়ে গেছে এখন ফিরে যাওয়ার পালা। গোধুলীর আলোয় স্থাপনাগুলো চকচক করছে। গোলটেবিলের আড্ডা শেষে ক্যাম্পাসের পথে সবাই। স্মৃতিগুলো মুঠোফোনের ক্যামেরায় বন্দী হলো। নিস্তব্ধ নদীর পাড়ে বাতাসের শব্দ। নদীতে ঢেউ উপড়ে পড়ছে আর বয়ে চলছে আমাদের নৌকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *