নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাইফের দুই কিডনি অচল, বাঁচাতে প্রয়োজন ১২ লাখ টাকা

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাইফের দুই কিডনি অচল, বাঁচাতে প্রয়োজন ১২ লাখ টাকা

মাইনুদ্দিন পাঠান,
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’। মানুষের সম্মিলিত সহায়তায় বেঁচে যেতে পারে কারও জীবন। হৃদয়বান মানুষের এমন সাহায্যে বেঁচে থাকতে চান জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সাইফ উদ্দীন(সাইফ)।

সাইফ উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট (আইএসএলএম) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা না গেলে বাচাঁর সম্ভাবনা খুবই কম জানালেন চিকিৎসক। সুস্থ করতে চিকিৎসায় ব্যয় হবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। সম্পূর্ণ খরচ বহন অসম্ভব বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সকলের নিকট সহায়তা চেয়েছেন মো.সাইফ উদ্দীনের স্বজনরা।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে তার শারীরিক অসুস্থতা শুরু হলে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে গ্রাম্য চিকিৎসায় নির্ভর হন সাইফ। তবে এটি বিরাট কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। সময়ের ব্যবধানে জটিল আকার ধারণ করে তার শারীরিক অসুস্থতা। মানুষের বাঁচার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অত্যন্ত ১ টি কিডনি। কিন্তু ২টি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে যায় সাইফের।

জানতে চাইলে সাইফ জানান, মার্চের শেষ দিকে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। তবে দেশে করোনাভাইরাসের ভয় প্রকোপ আকারে থাকায় গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিৎসায় চলতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালীর মাইজদীতে ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে জানতে পারি আমার দুটি কিডনি ইনফেকশন হয়ে প্রায় শেষ অবস্থায়।

এরপর ইমার্জেন্সী ঢাকা উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চলে যাই। সেখানে প্রখ্যাত নেপ্রোলজিস্ট ডা. ইউশা আল আনসারী এর অধীনে কিছুদিন চিকিৎসা চলে। শারীরিক কোন পরিবর্তন দেখা না গেলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এতে ডাক্তার হতাশার কথা শুনিয়ে জানালেন, ঔষধ খেয়ে কিছুদিন বাঁচলেও সুস্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।

এইদিকে পরিবারের কারো সাথে সাইফের ব্লাড গ্রুপ ম্যাচিং না হওয়ায় সাইফের পরিবার কিডনি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তার বাবা জানান, সাইফের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রায় ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। এখন পরিবারের পক্ষে এতো টাকা ম্যানেজ করে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই এই ব্যাপারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃষ্টি অাকর্ষণ করছেন এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. দিদার-উল-আলমকে পরিবারের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও ডাক্তারের সাপোর্টিং নিয়ে একটি দরখাস্ত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে সাধ্যানুযায়ী সহায়তা প্রদান করা হবে।

এছাড়াও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে সাইফের স্বজনদের পক্ষ থেকে। সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহীদের নিম্নোক্ত মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ রইল:

09412100008761
হাবিবুর রহমান
এক্সিম ব্যাক, চরবাটা
খাসেরহাট,ব্রাঞ্চ।

বিকাশ -০১৬৩৬৭০৭১৪৯ (পার্সোনাল)
নগদ-০১৭৭১৯৬২০৯৪ (পার্সোনাল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *