বাণিজ্যিকীকরণে কৃষির গ্রাজুয়েটদের ব্যবসায়ের জ্ঞান আবশ্যক: কৃষি মন্ত্রী

বাণিজ্যিকীকরণে কৃষির গ্রাজুয়েটদের ব্যবসায়ের জ্ঞান আবশ্যক: কৃষি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি


আগামীর বাংলাদেশ সংগঠনের উদ্যোগে “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরিতে আধুনিক কোর্স কারিকুলার ভূমিকা”শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল সেশনের শুরুতে মডারেটর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজনসহ ১৫ আগস্টে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের সকলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।

ভার্চুয়াল সেশনে কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অপরিহার্য। আর এ জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের উৎপাদন সংক্রান্ত জ্ঞানের পাশাপাশি কৃষির একজন গ্রাজুয়েটকে উৎপাদন, মার্কেটিং, সাপ্লাই চেইন, ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ ও নেতৃত্ব প্রদানের দক্ষতা এবং প্রযুক্তি জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন পর্যায়ক্রমে কৃষির নতুন বিষয় এগ্রিবিজনেসসহ সকল বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের বানিজ্যিকরনের স্বার্থে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি উইং খোলা এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে Incubation Centre স্থাপন করে তরুন উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং করার প্রয়োজন বলে মনে করেন।

তিনি The National Agricultural Research System (NARS) এর অধীনে বাংলাদেশে অন্যান্য কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান BARI, BRRI এর মতো স্বতন্ত্র বাংলাদেশে এগ্রিবিজনেস গবেষনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এবং পাশাপাশি বর্তমানে যে কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে স্ব স্ব শস্যের জন্য আলাদাভাবে এগ্রিবিজনেস উইং চালু করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে ঐ শস্যের বানিজ্যিককরন নিয়ে আরও বেশি কাজ করা যায়।

দেশবরেণ্য উদ্যোক্তা ন্যাশনাল এ্যাগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এস. এম মোস্তাফিজুর রহমান সকল অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের বাণিজ্যিক জ্ঞানের জন্য বিশেষ করে কৃষির ছাত্রদের ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সিলেবাসে অর্ন্তভুক্ত থাকা উচিত তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান লেখাপড়া শেষ করে চাকরির অপেক্ষা না করে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী ও গবেষণায় উৎসাহী করতে হবে যাতে দেশ গঠনে তারা ভূমিকা পালন করতে পারে। সমকালীন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

বাকৃবি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্ডার গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের কারিকুলাপ আধুনিকায়ন করে উৎপাদনের জ্ঞানের সাথে কৃষি ব্যবসায়ের জ্ঞান অর্ন্তভুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন। তিনি সকল কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দক্ষ কৃষিবিদ এবং কৃষিবিজ্ঞানী তৈরি করার পাশাপাশি কৃষি গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রসার করার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।

কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজসহ সকল বক্তাগন কৃষির গ্রাজুয়েটদের প্রায়োগিক ও বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন। পাশাপাশি কৃষিকে মিডিয়ায় ব্রান্ডিং করার

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর ড. সাত্তার মন্ডল সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, জনাব এন.আই খান, সাবেক শিক্ষা সচিব; মোঃ নাসিরুজ্জামান, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনাব শাইখ সিরাজ, ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, প্রাক্তন নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।

(BARC), ড. এস.এম বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। (BARC), ড. মির্জা মোফাজ্জ্বল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), বিভিন্ন Industry Expert ও Curricula Expert. ভার্চুয়াল সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রফেসর ড. তুহিন শুদ্র রায়, অতিরিক্ত পরিচালক, IQAC, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)।

অনুষ্ঠানটি মডারেটর করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিসটেন্ট প্রফেসর আবু জাফর আহমেদ মুকুল ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ইসরাত জাহান টুম্পা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *