বাসা পাল্টাতে এসে না ফেরার দেশে আ.রহমানের পরিবার

বাসা পাল্টাতে এসে না ফেরার দেশে আ.রহমানের পরিবার

সারাদেশ টুডে


গত সোমবার (২৯ জুন) সকালে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দেশ স্তব্ধত। ঘটনায় পুরো দেশ শোকে আচ্ছন্ন। একে একে ৩৩ লাশ উদ্ধার করলেন ডুবুরিরা। এর মধ্যে কেউ বা সপরিবারে, কেউ বা পরিবারের একমাত্র উপার্জন করতেন। এমননি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রত্যক্ষদর্শীরা।

লাশ ময়নাতদন্তের পর শনাক্ত করতে সপরিবার হারানোর কথা শুনাচ্ছিলেন নিহত হাসিনা বেগমের বোন হামিদা বেগম।

হামিদা বেগম বলেন, তার দুলাভাই আব্দুর রহমান পেশায় ঢাকা জজকোর্টের মুহুরি। পুরান ঢাকার কসাইটুলি এলাকায় তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক রুমের বাসায় ভাড়া থাকতেন। আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান শিফাত (৯), একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। বেশ ভালোই কেটে যাচ্ছিলো তাদের দিন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আব্দুর রহমান। বুদ্ধি করে ছেড়ে দেন পুরান ঢাকার ভাড়া নেওয়া বাসাটি। কিন্তু বাড়িওয়ালার দাবি জুন মাসের পর ছাড়তে হবে বাসা। তাই ঘরের আসবাবপত্র রেখেই সপরিবারে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম চলে যান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকেই তাদের বাসা ছেড়ে মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তাদের ছেলেটিকে বাড়িতে রেখে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে বাড়িতে থাকতে চায়নি বলেই বাধ্য হয়ে তাকেও নিয়ে আসতে হয়েছিল। একটি দুর্ঘটনায় ঝড়ে গেলো পুরো একটি পরিবার।

শেষে বলেন, বাসা ছেড়ে দিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে মুন্সিগঞ্জ থেকে মর্নিং বার্ড লঞ্চে করে ঢাকায় আসছিলেন আব্দুর রহমান। তবে তাদের লঞ্চটি টার্মিনালে নোঙর করার আগেই চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *