বিক্রমাদিত্যের প্রতাপে বিক্রমপুর

বিক্রমাদিত্যের প্রতাপে বিক্রমপুর

ইসরাত জাহান ইতি


প্রাগৌতিহাসিক বিক্রমপুর এখন বর্তমানের মুন্সীগঞ্জ। আসলে আজকের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাচীন বাংলার গৌরবময় স্থান বিক্রমপুরের অংশ। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিভাগের একটি জেলা হিসেবে বেশ পরিচিত একটি জেলা মুন্সীগঞ্জ। মুন্সিগঞ্জ সে সময়ে ইদ্রাকপুর নামে একটি গ্রাম ছিল ।

কথিত আছে, মোঘল শাসন আমলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসকদের দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সিগঞ্জ।

এ জেলায় রয়েছে ৬টি উপজেলা যথা– মুন্সীগঞ্জ, গজারিয়া, টংগীবাড়ী, লৌহজং, সিরাজদিখান, শ্রীনগর। মুন্সিগঞ্জ জেলার উত্তরে ঢাকা জেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর জেলা, পূর্বে মেঘনা নদী ও কুমিল্লা জেলা এবং পশ্চিমে পদ্মা নদী ও ফরিদপুর জেলা অবস্থিত। আয়তন: ৯৫৪.৯৬ বর্গ কিমি। মুন্সিগঞ্জ জেলা নদীবাহিত সমতল এলাকা। এ জেলার মধ্য দিয়ে পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদী প্রবাহিত হয়েছে ।

আজকের মুন্সিগঞ্জ জেলা এক সময় বিক্রমপুর নামে ভারতবর্ষে পরিচিত ছিল। বিক্রমপুর নগরের অবস্থান ছিল পশ্চিমে পদ্মানদী, উত্তর ও পূর্বে ধলেশ্বরী নদী এবং দক্ষিণে আড়িয়াল খাঁ ও মেঘনা নদীর সংযোগস্থল। এ বিক্রমপুর ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী।বিক্রমাদিত্য ছিলেন প্রাচীন ভারতের একজন রাজা। ধারণা করা হয়, বিক্রমপুর নামটির উৎপত্তি বিক্রমাদিত্য থেকে। বিক্রমপুর নামের ‘‘বিক্রম’অর্থ সাহস বা বীরত্ব এবং ‘‘পুর’ অর্থ নগর বা এলাকা । রাজা বিক্রমাদিত্য অথবা বঙ্গরাজ চিত্রসেন বিক্রমপুর নগরীর স্থাপন করেন। বিক্রমপুর ছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজধানী । এখন থেকে ১০০০ বছর আগে যে বঙ্গরাজ্য সভ্যতার সূচনা হয় সে বঙ্গরাজ্যের রাজধানী বিক্রমপুর। তবে বেশ কয়েকজন শাসক যেমনঃ চন্দ্রগুপ্ত, ধর্মপাল, সম্রাট হেমু প্রমুখ বিক্রমাদিত্য পদবিটি গ্রহণ করেছিলেন। তাই এটি পরিষ্কার নয় কার নামে বিক্রমপুরের নামকরণ করা হয়েছিল।

বিক্রমপুর বাংলার একটি ঐতিহাসিক এলাকা। বিক্রমপুর পরগনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। ধারণা করা হয়, বৈদিক যুগ থেকে ভাওয়াল ও সোনারগাঁও রাজধানী হিসেবে আবির্ভূত হবার আগ পর্যন্ত এটিই ছিল বাংলার প্রাচীনতম রাজধানী। প্রাচীনকালে বিক্রমপুর ছিলো বঙ্গ জনপদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র। অঞ্চলটি খ্রিস্টীয় দশ শতকের শুরু থেকে তেরো শতকের প্রথম পর্যন্ত চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল। এমনকি সেনদের শাসনামলে, যাঁরা প্রায় সমগ্র বঙ্গের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন, বিক্রমপুর তাঁদের রাজধানী রূপে বলবৎ ছিল । নদীয়ায় মুসলমান আক্রমণকারী বখতিয়ার খলজীর হাতে পরাজিত হওয়ার পর লক্ষ্মণসেন এ অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেন স্বল্পকালের জন্য এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন।

বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেনের তাম্রশাসনগুলিতে রাজধানী রূপে বিক্রমপুরের উল্লেখ না থাকলেও তাঁরা যে ভূমি দান করেছিলেন তার অবস্থান ছিল বিক্রমপুর ভাগে। এতে এ অঞ্চলের ওপর তাঁদের কর্তৃত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিক্রমপুরের খ্যাতি ১২৮০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিক পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।

প্রাচীনকালে বিক্রমপুর ছিল এক বিশাল এলাকার নাম। মুঘল যুগে বিক্রমপুরের আয়তন ছিল ৯০০ বর্গমাইল। বৃটিশ শাসনামলে বিক্রমপুরকে আরো ছোট করা হয়। তখন বিক্রমপুরের আয়তন দাড়ায় ৪৮৬ বর্গ মাইল। সমগ্র মুন্সীগঞ্জ জেলা, মাদারীপুর জেলা, শরীয়তপুর জেলা, ফরিদপুরের পূর্বাংশ, নারায়ণগঞ্জ সদর, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ বিক্রমপুরের অন্তর্গত ছিল। ১৮৪৫ সালে মুন্সীগঞ্জ মহকুমায় রূপান্তরীত হয়। তখন মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, রাজবাড়ী ও মুলফতগঞ্জ এ চারটি থানা নিয়ে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মুন্সীগঞ্জকে বৃটিশ সরকার মহকুমায় উন্নীত করে। ১৮৪৫ সালে মুন্সীগঞ্জ মহকুমায় রূপান্তরীত হয়। তখন মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, রাজবাড়ী ও মুলফতগঞ্জ এ চারটি থানা নিয়ে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মুন্সীগঞ্জকে বৃটিশ সরকার মহকুমায় উন্নীত করে। ১৮৬৯ সালে পদ্মার গতি পরিবর্তনে মুন্সীগঞ্জ ছোট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১৮৬৯ সালের আগে পদ্মা মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের ১০০ মাইল পশ্চিম দিয়ে প্রবাহিত হতো। পদ্মা মুন্সীগঞ্জের মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাজবাড়ী ও মুলফতগঞ্জ থানা মুন্সীগঞ্জ মহকুমা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাখেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। রাজাবাড়ী ও মলফতগঞ্জ থানায় ৪৫৮টি গ্রাম ছিল। পদ্মাই মুন্সীগঞ্জকে ছোট করে দেয়।

১৮৮২ সালে মুন্সীগঞ্জ মহকুমা থেকে নারায়ণগঞ্জকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর আগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত ছিল। ১৯১৪-১৫ সালে বৃটিশ সরকার টঙ্গীবাড়ী, সিরাজদিখান ও লৌহজং থানা বৃদ্ধি করে। ফলে মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, লৌহজং, সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ী মিলে পাঁচটি থানা করা হয়। ১৯৪৮ সালে গজারিয়া থানাকে কুমিল্লা থেকে কেটে মুন্সীগঞ্জ মহকুমায় সংযুক্তি করা হয়। ফলে মুন্সীগঞ্জ মহকুমায় ছয়টি থানা নিয়ে পূণর্বিন্যাস হলো।

১৭৮১ সালের আর একটি মানচিত্রে দেখা যায়, কালিগঙ্গা নদী এ অঞ্চলের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত যা এলাকাটিকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছিল উত্তর বিক্রমপুর এবং দক্ষিণ বিক্রমপুর নামে । অতঃপর এরশাদ সরকার ১৯৮৪ সালের ১মার্চ মুন্সীগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করেন। এর আগ পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ ছিল ঢাকা জেলার একটি মহকুমা। আসলে ক্রমাগত নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রাচীন বিক্রমপুর শহর এবং এর পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শণসমূহ প্রায় পুরোটাই কালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেছে। তবে নদীর গতি পরিবর্তণের ফলে এ ধরনের ভূমিক্ষয় ঐতিহাসিক ভাবেই বাংলার একটি সাধারণ ব্যাপার।

ইতিহাস,ঐতিহ্য আর বহু কীর্তিমান মনীষীর স্মৃতিধন্য মুন্সিগঞ্জ জেলা। এই এলাকায় বাংলার বহু কীর্তিমান ব্যক্তির জন্ম হয়েছে। এখানকার কৃতী সন্তানের মধ্যে রয়েছেন অতীশ দীপঙ্কর, জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, সরোজিনী নাইডু, ব্রজেন দাস, সত্যেন সেন, জিতেন ঘোষ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, সমরেশ বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, ইমদাদুল হক মিলন, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজদ্দিন আহমেদ ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরি প্রমুখ। সংস্কৃতির ভান্ডার এই বিক্রমপুর শুধু ইতিহাসেই নয়, ঐতিহ্যেও সমৃদ্ধ। প্রাচীন কাল থেকেই এই অঞ্চল তার বৌদ্ধ জ্ঞান চর্চার জন্য এবং পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক প্রভাবের জন্য সুপরিচিত। সংগীত, নাটক, নৃত্য, সাহিত্য, আবৃত্তি-সংস্কৃতির সকল শাখায় সমৃদ্ধ এই মুন্সিগঞ্জ। মহাত্মা বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই এর স্মরণে তৈরি বারামখানা মুন্সীগঞ্জের সিয়াজদিখানের পদ্মহেম ধাম তারই একটি সাক্ষ্য। বাউল বাড়ি হিসেবে পরিচিত পদ্মহেম ধাম বাউল ফকিরের একটি আশ্রম। এ জেলার প্রাচীন নিদর্শন সমূহের সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাজারো গৌরব গাঁথা, সুখ-দু:খের নানা উপাখ্যান।

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যের আরেকটি রুপ কাঠ ও টিনের অপূর্ব সুন্দরদোতলা বাড়ী । বৃষ্টির দিনে টিনের চালের টাপুর টুপুর শব্দটি নুপুর পায়ে পল্লী বালিকার পদচারণার মতো। যুগ যুগ ধরে মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্য বহন করছে এই কাঠের ঘর। নদি ভাংগন প্রবন এলাকা হওয়ার কারনে এই ঘর গুলি খুবই জনপ্রিয়। সৌন্দর্যের কারনে এই ঘর গুলি খুবি জনপ্রিয় হওয়ায় এখানকার মানুষের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশি। এই চাহিদা পুরন করতে এখানে বেশ কিছু ঘরের হাট বসে । যা অন্যান্য জেলা থেকে এ জেলাকে ব্যতীক্রমি রুপ দিয়েছে ।

মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ইদ্রাকপুর কেল্লা, মাওয়া ফেরি ঘাট, পদ্মা রিসোর্ট, মাওয়া রিসোর্ট, ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি, আড়িয়াল বিল, মেঘলা হলিডে রিসোর্ট, বাবা আদম এর মসজিদ ইত্যাদি। পদ্মা নদীর পাড়ের প্রকৃতির মধ্যে গড়ে ওঠা পদ্মা রিসোর্ট এর চারপাশে রয়েছে নির্মল বায়ু এবং পদ্মা নদীর অপরুপ সৌন্দর্য । পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটি দ্বীপে গড়ে উঠেছে এ রিসোর্ট। আবার মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে পদ্মার পাড়ে মাওয়া রিসোর্টটি নির্জনতার বাতাবরণ আর সবুজে ঘেরা । দীঘির চারদিকে সারি সারি নারিকেল আর সুপারি গাছে ঘেরা এ রিসোর্টটির সৌন্দর্য আপনাকে এক স্নিগ্ধ প্রশান্তিতে ডুবিয়ে ফেলবে।

বৈচিত্র বিক্রমপুরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি,
সোনালী সকালে ফোঁটে শাপলা সুন্দরী ।
আলো আঁধারের মেলা আড়িয়াল বিলে,
জেলেরা মাছ ধরে খুব সকালে ।

প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের রাণী আড়িয়াল বিল ঋতু ভেদে নিজের রুপ পরিবর্তন করে থাকে । বর্ষাকালে বিলের স্বচছ পানিতে যেমন শাপলা, কচুরিপানা ও কলমিপাতা ভাসে, তেমনি শীতে অতিথি পাখির কলকাকলি, খুনসুটি, ওড়াউড়ি, পানির ভিতর ডুব দেওয়া আর দলবেঁধে সাঁতার কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে এ বিলে। এই আড়িয়াল বিলের ধারেই অতীত শান শওকতের নিদর্শন নিয়ে অনেক কাল যাবত দাঁড়িয়ে আছে ভাগ্যকুলের যদুনাথ রায় জমিদার বাড়ি।

সম্মুখে আড়িয়াল বিল আর সাপ, ময়ূর, ফুল বিভিন্ন নকশা খচিত গ্রিক স্থাপত্যের আদলে গড়া বাড়িটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এটিকে “বিলের ধারে প্যারিস নগর”- হিসেবে বর্ণনা করেছেন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ।
বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জরে প্রধান র্অথকরী ফসল আলু। জেলার ছয় উপজলোর দিগন্ত বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে চলে আলুর আবাদ। মুন্সিগঞ্জের জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় আরো রয়েছে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ পিঠাপুলি। শীত এলেই নতুন ধানের পিঠাপুলির স্বাদ ও মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছরিয়ে পরে । ভাঁপা পিঠা, ছাঁচ পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, মুখশালা , চাপড়ি পিঠা, ছিট পিঠা, পাকান পিঠা, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, মালপোয়া, কলা পিঠা, ক্ষীর কুলি, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, ফুল ঝুরি পিঠা, ফুল পিঠা, হাতের সেমাই পিঠাসহ, দুধ লাউ সহ নানা ধরনের পিঠা মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যের একটি অংশ । ভোজন প্রীতি বাঙ্গালীর চিরন্তন অভ্যাস।

রুপালি পদ্মা রূপে অনন্য,
রুপালি জলের রুপ দেখে ধন্য ।
রুপালি ইলিশ রুপে নয় শুধু,
রুপালি ইলিশ স্বাদেও অসামান্য ।

পদ্মা নদীর ঢেউ আর সূর্যের মিতালি, জেলেদের মাছ ধরা, খাবারের মেন্যুতে রুপালি ইলিশ, মাছের ডিম ভাজা, লেজ ভর্তা, বেগুন ভাজা, নরম তুলতুলে রসগোল্লা, সাথে চা ও স্থানীয় পান। মিষ্টি হলো বাঙ্গালীর অবিচ্ছিন্ন সাথী । বাঙ্গালিরই খাওয়া–দাওয়ায়র একটি অতি জনপ্রিয় উপকরণ হচ্ছে মিষ্টি। আর সেই মিষ্টি যদি হয় মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকুলের মিষ্টি তা হলে তো কথাই নাই।

কিন্তু এখনও মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি বিস্তৃত অংশের মানুষজন নিজেদের ঐতিহাসিক বিক্রমপুরের অধিবাসী বলে দাবি করে। এ অঞ্চলের অধিবাসীরা নিজেদেরকে বিক্রমপুরের বাসিন্দা হিসেবেই উল্লেখ করতে বেশি গর্ব বোধ করে, যা অবশ্য এ অঞ্চলটির অতীতের গৌরবকেই তুলে ধরে।

লেখক: তরুণ নারী উদ্যোক্তা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *