বিদেশে ছাত্র পাঠানোর নামে জালিয়াতি: ১০ বছরে প্রতারিত ৭ হাজার

বিদেশে ছাত্র পাঠানোর নামে জালিয়াতি: ১০ বছরে প্রতারিত ৭ হাজার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিদেশে যান। এদের অধিকাংশই বিভিন্ন ‘কনসালটেন্সি ফার্মের’ মাধ্যমে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া ও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করেন।

ফার্মগুলো ক্ষেত্রভেদে একেকজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। দেশে নামে-বেনামে এমন দুই সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় এই সেক্টর ঘিরে ‘কনসালটেন্সি ফার্মের’ নামে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেছে কয়েকটি চক্র।

গত এক দশকে চক্রগুলো পড়াশোনার জন্য বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করে সাত সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অন্তত দেড়শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চটকদার প্রচারণার মাধ্যমে অসাধু এজেন্সিগুলো প্রধানত দুই ধরনের প্রতারণা করে থাকে। এক. শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অসম্পন্ন রাখা ও বিদেশে না পাঠানো। দুই. ভিসা করে বাইরে পাঠিয়ে প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা না দেয়া।উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেশের বাইরে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতারক চক্রগুলো এখন লাগামহীন।

এটিকে মানব পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের নতুন ক্ষেত্র বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে দেশে শক্ত কোনো আইন নেই। কনসালটেন্সি ফার্মগুলোর কর্মকাণ্ড তদারকিরও ব্যবস্থা নেই। কেবল ‘পরামর্শক’ হিসেবে একটি ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি করেই প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

ফলে বিপুল অঙ্কের টাকা লোপাট করেও পার পেয়ে যাচ্ছে ফার্ম সংশ্লিষ্ট প্রতারকরা। বিপরীতে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও তার পরিবার।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘যুগের চাহিদা, দেশে চাকরির বাজার সংকুচিত হওয়া এবং উচ্চশিক্ষার পিপাসা থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা একটা লাঠিমাত্র।

এটা বেয়ে বিদেশে গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নেয়া অনেকের লক্ষ্য থাকে। বেশির ভাগ এজেন্সি এই প্রচারণাতেই জোর দেয়। আর এতে প্রলুব্ধ হয়ে অনেকে এজেন্সিগুলোর কাছে ধরনা দেয়। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা দেয়া সরকারের দায়িত্ব।

এজেন্সিগুলো যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য এদের কোনো না কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা জরুরি।আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করে প্রতারণার ঘটনাগুলো তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে বিদেশ গমনেচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল এডুকেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫০-৬০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি জমান।

এক্ষেত্রে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থাকে পছন্দের শীর্ষে। মানসম্পন্ন ও ‘ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং’-এ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই ভর্তি ও ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম নিজেরাই সম্পন্ন করেন। অন্যদিকে কনসালটেন্সি ফার্মগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে ওই ফাঁদে পা দেয় একটি বড় অংশ।

রাজধানীর ফার্মগেট, পল্টন, মতিঝিল, ফকিরাপুল, কাকরাইল, উত্তরা, গুলশান, মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অন্তত পৌনে তিনশ’ প্রতিষ্ঠান আছে। নামে-বেনামে সারা দেশে এই সংখ্যা দুই সহস্রাধিক হবে।

সরেজমিন এ ধরনের অন্তত ৮টি প্রতিষ্ঠিত ফার্মের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদেশে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে তারা চারটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে থাকেন। সেগুলো হল- শিক্ষার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থা, একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফল ও অভিজ্ঞতা, ভাষাগত দক্ষতা এবং বিদেশ গমনে তার প্রকৃত উদ্দেশ্য। এই বিষয়গুলো বুঝে শিক্ষার্থীকে টার্গেট করা হয়।

অনেকে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশে যেতে পারেন। আর যাদের যোগ্যতায় ঘাটতি থাকে তাদের নানানভাবে প্রলুব্ধ করা হয়। এর মধ্যে আছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তিলাভ, ভালো ফল ও ভাষাগত দক্ষতার (আইইএলটিএস, টোফেল বা এ ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতির স্কোর) সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান কিংবা সমস্যা উতরে দেয়ার আশ্বাস।এ ক্ষেত্রে প্রতারক ফার্মগুলো ‘সব করে দিব, টাকা দিলে সব সম্ভব’- বলে ফাঁদ তৈরি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই ওয়ার্ক পারমিট লাভের কথা জানায় তারা। ইউনিভার্সিটিগুলোর টিউশন ফি দিয়ে অফার লেটার (নিজেদের তৈরি) প্রাপ্তির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে ভর্তি ও ভিসার নিশ্চয়তা দেয়।

এক্ষেত্রে তারা তথ্য গোপন করে মনগড়া তথ্য দিয়ে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতির বেশির ভাগই পূরণ করে না প্রতারক এজেন্সিগুলো।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি সূত্র সম্প্রতি এভাবে তিনজনের প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছে। সূত্রটি বলছে, উত্তরার ট্রাভেলার এজ বি.ডি. নামের একটি প্রতিষ্ঠান সাব্বির হোসেন (২১), শামীমুল হক ও আমিনুল ইসলাম নামের তিনজনকে পড়াশোনর জন্য কানাডায় পাঠানোর কথা বলে যথাক্রমে ২০ লাখ, ১৫ লাখ ও ১৭ লাখ টাকা নেয়।

এরপর তাদের কানাডায় না পাঠিয়ে ইন্দোনেশিয়া পাঠানো হয়। সেখানে শুরু হয় তাদের মানবেতর জীবন।

ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ তাদের আটক করে এবং ১৭ দিন তারা জেলহাজতে থাকে। এছাড়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নাম করে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে আর পাঠানো হয়নি।

এছাড়া কাজী সেলিনা আজমী নামে এক নারী গুলশান-২ এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে দেবরের ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কানাডায় পাঠাতে দুই দফায় ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ওই ছেলেকে পাঠাতে পারেননি।

বিদেশে ভর্তির নামে ‘স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি’ করা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ‘ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ফ্যাডক্যাব)-এর সদস্য সংখ্যা চারশ’র মতো। অথচ সারা দেশে এ ধরনের কনসালটেন্সি ফার্ম রয়েছে দুই সহস্রাধিক।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন এমকে বাশার বলেন, ‘যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই, তাই যে কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠান খুলে বিদেশে শিক্ষার্থী পাঠাতে পারে।’

সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী জানান, যারা শিক্ষার্থী পাঠানোর নাম করে অন্য উদ্দেশ্যে বিদেশে লোক পাঠায় তারা অবশ্যই অপরাধ করছে। কারণ এই লাইসেন্স দিয়ে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই।

১২ বছর ধরে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থী ভর্তির কাজ করছেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের কর্ণধার আবদুর রহমান। তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো করছে। তাই গণহারে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে আমরা কোনো প্রসেসিং ফি নিই না। আর ভর্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা অর্থ শিক্ষার্থী সরাসরি জমা দেয়। আমরা এই প্রসেসিং করি এ কারণে যে, শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে পারলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন বা টাকা দিয়ে থাকে।

সুতরাং যেসব প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের থেকে অঙ্কের টাকা নেয় তারা প্রতারণায় যুক্ত।

পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট খাতের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে রাজধানীতে স্টুডেন্ট ভিসা কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছে।এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্তত দেড়শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রতারণার অভিযোগে ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ২৫৫টি অভিযানে ৬৯২ মানব পাচারকারী আটক হয়। এসব ঘটনায় মামলা হয় ৩৩০টি।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথাও জানিয়েছে আটক হওয়া অনেকে। তাদের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ মামলা হয়েছে ৪২০ ধারায়। ফলে আসামিদের বেশির ভাগ জামিনে বের হয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান বিভাগ) উপকমিশনার মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের ঘটনায় টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়া এবং বিদেশে ভর্তি না করার অভিযোগই আমরা পেয়ে থাকি।জাল-জালিয়াতি করে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কাউকে বিদেশে পাঠাতে সক্ষমও হয় তাহলে সেখানে গিয়ে ধরা পড়ে জেল-জুলুমের শিকার হওয়ার ঘটনা আছে।

কেউ রক্ষা পেলেও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে কুলি-মজুরের কাজ করে জীবন নির্বাহ করেন।হতাশা থেকে আত্মহত্যার ঘটনাও আছে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগ সময় ভুক্তভোগীরা কখনও ভয়ে, কখনও প্রতারক চক্রের প্রতিশ্রুতির জালে পড়ে মামলা করা থেকে বিরত থাকেন।

এদিকে কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সেই অর্থে কোনো মনিটরিংও নেই। ফলে প্রতারণা চলছেই। এটা মানব পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের নতুন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অধীনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত একটি বিধিমালায় কনসালটেন্সি ফার্মগুলোর রাখার কথা ছিল।

২০১৪ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা করা হয়। কিন্তু তাতে ফার্মগুলোর ব্যাপারে কোনো বিধান রাখা হয়নি। নাম প্রকাশ না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কনসালটেন্সি ফার্মগুলো মূলত ব্যবসা করছে।এগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। তাই যারা লাইসেন্স দিয়েছে এটা তাদেরই দেখার কথা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রোমানিয়া, পোল্যান্ডসহ মধ্য ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা দেয়ার নামে বেশকিছু এজেন্সি কাজ করছে। আগ্রহীদের সহজেই ইউরোপে পাঠানোর লোভ দেখায় তারা।তবে বাস্তবে যেসব সুযোগ-সুবিধার কথা বলে শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয় সেখানে গিয়ে তারা তা পান না। বরং নানা ধরনের আইনি জটিলতায় পড়েন। এতে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় দেশের।

সম্প্রতি সরকারের কাছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রোমানিয়া সরকার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠায়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।

তিনি বলেন, এসব ঘটনায় সাধারণত ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মামলা হয়। মামলায় কোনো প্রতারককে ধরে আদালতে সোপর্দ করলেও তারা দ্রুত জামিন পেয়ে যায়।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এবং মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এজেন্সিগুলোর এ ধরনের প্রতারণা মানব পাচারের অন্যতম অনুষজ্ঞ। এসব বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক ছিলাম। প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *