বিশ্ববিদ্যালয় জীবন: To Do or Not To Do?

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন: To Do or Not To Do?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জীবন যুদ্ধের বড় অংশ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধ। সবার স্বপ্ন থাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে। আবার অনেকের স্বপ্ন থাকে তার পছন্দের নির্দিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ১০ টি কথা মেনে চলা উচিত।

১) মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ‍্যালয় কেবল ক‍্যারিয়ার গড়ার জায়গা না; জীবনকে উপভোগ করতে শেখার সেরা স্থান। তাই, লক্ষ‍্য রেখ যেন ৪ বছর পর একটা সার্টিফিকেটই তোমার একমাত্র অর্জন না হয়।

২) তুমি যে বিভাগে ভর্তি হয়েছ, সেই বিভাগে পড়ে ভবিষ‍্যতে কি চাকরি করবে তা নিয়ে প্রথম বর্ষে চিন্তা করে ক্যাম্পাস জীবনের আনন্দ মাটি করবে না। একটা কথা আছে- মক্কা বহুত দূর। তাই প্রথম বর্ষে যত পারো চিল করো।

৩) তোমার ক্লাসের একদল সহপাঠী থাকবে যারা সব অজুহাতে পরীক্ষা পেছানোর ধান্দায় থাকবে। তুমি নিজে সেই দলের অংশ হয়ে যেয়ো না। পরীক্ষা কালকে সকালে হোক আর ডিসেম্বর মাসে হোক, তুমি পড়বে সেই আগের রাতেই। তাই, সময়ে সময়ে সেমিস্টারের সব মিডটার্ম দিয়ে দাও।

৪) এবার আসি সিজিপিএ নিয়ে। CGPA এর পেছনে দৌড়ালে জীবনে Excellency আসবে না। তাই, Excellency অর্জনের জন‍্য পরিশ্রম দাও, দৌড়াও। CGPA দেখবে ফ্রিতে চলে আসবে।

৫) বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী সিজিপিএ কে জীবনের সফলতাভাবে। তাছাড়া তারা জীবনের সুখ নামক ব‍্যাপারটাকে সফলতা/ CGPA দিয়ে সংজ্ঞায়িত করে, এই ধারণা মোটেই ঠিক না। তোমার জীবনের সুখ পরিমাপ করবে বিশ্ববিদ‍্যালয় জীবনে কতগুলো স্মৃতি তৈরি করেছো তা দিয়ে।

৬) সিনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। টিপসস হলো, কোন সিনিয়রকে রাস্তায় একা পেলে ট্রিট চেয়ে বসবা। তবে, তোমার সাথে যদি আরো ১২-১৫জন থাকে তাইলে কোন লাভ নেই। সর্বোচ্চ ৩-৫ জন খাওয়ানো যায়।

৭) এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রেম করবা কিনা? বিশ্ববিদ‍্যালয় জীবনে প্রেম না করলে ফাল্গুন, বৈশাখ, বর্ষাবরণের অনুষ্ঠানের একটা বিশেষ স্বাদ হারাবে। তাই, এখন যৌবন যার, প্রেম করার সময় তার।

৮) বিশ্ববিদ‍্যালয় লাইফে কিছু কাজ করে অর্থ-উপার্জন করতে শিখবে। সেটা যত ছোট উপার্জন হোক না কেন। বাবা-মার কাছ থেকে আর কতদিন হাত খরচ নিবে?

৯) যত-বেশি নিজের ব‍্যক্তিগত যোগাযোগ সৃষ্টি করো। চাকরির বাজারে তোমার CGPA এর চেয়ে এখন পরিচিতি দরকার। সবাই চায় পরিচিত যোগ‍্য মানুষকে নিতে। তাই, বলবো শুধু যোগ‍্য হয়ে লাভ নেই।

১০) তোমার বিভাগের প্রত্যেক অনুষ্ঠানেই আয়োজক / পারফরমারের ভূমিকা পালন করবে। আমাদের বিভাগের সবাই বইয়ের পোক। কেউই আহামরি নাচ-গান-অভিনয় পারে না। সবাই তোমার মত! তাই, লজ্জা না পেয়ে সবাই যা করছে তাতে অংশগ্রহণ করো। বিভাগের প্রতি তাহলে একটা ভালোবাসা তৈরি হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *