বিশ্ববিদ্যালয়কে পতিতালয় বলায় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

বিশ্ববিদ্যালয়কে পতিতালয় বলায় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

কুবি প্রতিনিধি


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে পতিতালয় বলায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। মামলায় আসামীর নাম মেহেদি হাসান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ধারা ২৯ ও সাধারণ ধারা ৩১ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মামলা নং-৩১।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন থিয়েটারের সাবেক সভাপতি ও আইসিটি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই মামলা করেন। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক সমিতি তার এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কর্তৃক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে মামলা করা হয়।

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঐ ছাত্রের সনদও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া তার সনদ কেন স্থায়ী বাতিল করা হবেনা এই মর্মে শোকজ করা হবে।

মেহেদি হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেন, “কুমিল্ল বিশ্ববিদ্যালয় একটি পতিতালয়। যার দালাল হচ্ছে সবকটা শিক্ষক আমি পুনরায় বলছি সবকটা শিক্ষক।”

তার দেওয়া কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ স্ট্যাটাসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত দেন মেহেদি।

জানা যায়, মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে থিয়েটারের আয়োজনে শহীদ মিনারে ‘কবর’ নাটক পরিবেশন করে থিয়েটার। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু সময় পর নাটকটি বন্ধ করে দেয় কুবি প্রশাসন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ হয়ে থিয়েটারের সাবেক সভাপতি ও আইসিটি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদি হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

অভিযুক্ত মেহেদি হাসান বলেন, “আমি ভুল করেছি। ক্ষমাও চেয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ আমার জীবনের ঝুঁকি হয় এমন কোন শাস্তি যেন তাঁরা না দেন।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *