বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় পছন্দক্রম হোক আপনার পছন্দ অনুযায়ী

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় পছন্দক্রম হোক আপনার পছন্দ অনুযায়ী

কাজী মুহসিনা তামান্না


গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বনেতটদের বলেছিলেন “HOW DARE YOU”। ঠিক তেমন নিজের কাছে নিজে দায়ী থাকবেন যদি না নিজের পছন্দ অনুযায়ি বিষয় প্রথম সারিতে দিতে ভুল করেন। আজকে আমরা বিষয় পছন্দক্রম নিয়ে ভিন্নভাবে চিন্তা করব।

প্রথমত বিষয় পছন্দক্রম কী?

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে বিষয় পছন্দক্রম।

দ্বিতীয়ত আমার মতানুযায়ী কিভাবে দেয়া উচিত?

আমার মতানুসারে, বিষয় পছন্দক্রম সেভাবে দিতে হবে যেভাবে আপনি দিতে চান। উদাহরণ স্বরুপ, পছন্দক্রম অনুযায়ী আসলো সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, বাংলা, দর্শন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, লোকপ্রশাসন। এখন, আপনি নিজেই একটু চিন্তা করে দেখুন, প্রতিটি বিষয়ই কিন্তু একটি অপরটির থেকে স্বতন্ত্র, প্রতিটি বিষয়েরই রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার। যেমন ধরুন, আপনি বিসিএস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলে; ভালো ফলাফল করলে ক্যাডার হতে পারবেন। তা আপনি সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়েন কিংবা ইংরেজিতে পড়েন। প্রতিটি বিষয়ের সমাজে রয়েছে স্বতন্ত্র অবদান।

যেমন: ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন কোন শিক্ষার্থী প্রথমেই সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাইবেন না। কারণ তাঁরা সমাজবিজ্ঞান কে মানবিক বিভাগের বিষয় মনে করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। সমাজবিজ্ঞান থেকেই কিন্তু সমাজবিজ্ঞানীরা সমাজের সব সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন। যদি সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা না করা হতো, তাহলে চিন্তা করে দেখুন সমাজের পুরনো সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা? নতুন কী কী সমস্যা হচ্ছে? এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়? তা বের করা সম্ভব নয়!

তাই চাইলেই গবেষণা খাতে গড়ে তুলতে পারেন নিজের ক্যারিয়ার। আবার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে আপনি সরকারি বেসরকারি যেকোন খাতে চাকরি করতে পারবেন। ব্যাংকে চাকরিও করতে পারবেন। যদি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কথা বলি, আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন যদি এই বিভাগটি না থাকত, তাহলে আমার লেখাটা হয়তো প্রকাশ পেত না, আপনারও ভিন্নভাবে চিন্তা করার সুযোগ পেতেন না, বিষয় পছন্দক্রম নিয়ে। আমাদের সমাজ এর প্রতিটি স্তরের মানুষের সাথে তাদের ভাবনা তুলে ধরছেন প্রতিনিয়ত এই বিভাগের মাধ্যমে। আর এভাবেই প্রতিটি বিষয় বা সাবজেক্ট সমাজে অবদান রেখে চলছে প্রতিনিয়ত।

আমার কলেজ সরকারি কাউখালি মহাবিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় ইংরেজি শিক্ষক জনাব মনিরুল ইসলাম বলতেন, “যখন একটি বাচ্চা হাতিকে সার্কাস খেলা দেখানোর জন্য আনা হয়, তখন একটি শিকলে তার পা বেধে দেয়া হয়, যেনো সে পালিয়ে যেতে না পারে। যখনই ছোটবেলায় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত তখনই শিকলে তার পা আটকে যেত এবং সে ব্যাথা পেত। হাতিটা যখন বড় হলো কখনোই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত না। কারণ সে ভয় পেত যে, সে পায়ে ব্যাথা পাবে অথচ সে তার ভয় দূর করতে পারলেই কিন্তু শিকল থেকে মুক্ত হয়ে সে সার্কাস নামক জেলখানা থেকে মুক্ত হতে পারত। নিজের ভয়কে জয় করুন, জীবন আপনার বিষয় পছন্দক্রমের সিরিয়াল ও হবে আপনার পছন্দানুযায়ী। তাহলে- As a student our duty is to acquire knowledge and our industry show us our own destination.


লেখকঃ শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *