বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের ৩টি ভ্যাকসিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের ৩টি ভ্যাকসিন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ ও গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কার করা তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গ্লোবের ভ্যাকসিনের নাম ব্যানকোভিড। ভ্যাকসিন তিনটি হলো, D614G Variant mRNA vaccine, DNA plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine।

আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক-ই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের তালিকাতে রয়েছে।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর গ্লোব জানায়, গ্লোব সফলভাবে প্রাণিদেহে তাদের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে, এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যওয়ার জন্য প্রস্তুত।

সেদিন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে আসবে। তবে এজন্য তিনি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আবেদন করেন।

তারও আগে গত ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি করোনাতে তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়, গত ৮ মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটকে স্বীকৃতি দিলো। বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র দেশ যে দেশের একটি কোম্পানির তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত হলো। আর এই তিনটি ভ্যাকসিনের কথা আমরা গত দুই জুলাইতে বলেছিলাম।

ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, তাদের এ ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ ( আইসিডিডিআরবি)র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী আইসিডিডিআরবি এখন প্রটোকল তৈরি করে বিএমআরসিতে (বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল) জমা দেবে। বিএমআরসির অনুমোদন পেলে তারা হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *