বিষন্ন এক কিশোরের জবানিতে লেখা গল্প “আব্বুকে মনে পড়ে”

বিষন্ন এক কিশোরের জবানিতে লেখা গল্প “আব্বুকে মনে পড়ে”

দিলশাদ বিন এরশাদ

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সে ছোট্ট শিশু,বয়স চার।আব্বু তাকে রেখে চলে যায় মহান মুক্তিযুদ্ধে।আর ফিরে আসেনা।তার আব্বুর লেখা দিনপঞ্জি পড়ে সে আব্বুকে অনুভব করে।সে মনে করে তার আব্বু কেমন ছিলো।

উপন্যাসের মূল উপজীব্য একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ হলেও গল্পের পুরাটা ছিল এক বিষন্ন তরুণের জবানিতে তার শৈবব ও বাবার স্মৃতিচারণ।

ষোল বছরের ক্ষুদ্র জীবনে সে তার বাবাকে মনে পড়ে তার কল্পনায়।যার জানা নেই আব্বুরা কেমন হয়! কেমন করে কথা বলে! কেমন করে হাঁটে! কেমন করে খায়! কেমন করে ঘুমায়! কেমন করে চুল আঁচড়ায়! কেমন করে শার্টের বোতাম লাগায়! এই গল্প সেই সব তরুনদের জন্য যারা জানে না আব্বুর গায়ের গন্ধ কেমন হয়!তাই সে বলে, আব্বুকে মনে পড়ে ,আব্বুকে মনে পড়ে না।

আব্বুকে মনে পড়তে হবে কেন? আব্বু তো তার সাথেই আছে, তার কাছেই আছে,আব্বুতো তো তার অস্তিত্বে মিশে আছে।তাই আব্বুকে মনে পড়ে না তার,আব্বুকে আলাদা করে মনে করার তো কিছু নেই?

ষোলবছরের এই তরুণ জীবনযাপন করে যাচ্ছে অাপন ভূবনে। কিন্তু সে পড়ে আছে তার সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে মধুর স্মৃতির মধ্যে।তার আব্বু তাকে বলে স্বাধীনতা আসলেই সে ফিরে আসবে তার কাছে,ছোট থাকতে সে জিঞ্জেস করে আব্বু স্বাধীনতা কেমন,তার আব্বু তাকে বলে ঐ যে রক্তিম সূর্য দেখছ তার মতো।কিন্তু সেই সূর্য প্রকাশ পেলেও তার আব্বু তার কাছে কখনো আসেনি।

প্রতিবার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনলে মনে হয় এই বুঝি আব্বু এল,কিন্তু আব্বু আসেনা। এভাবে কাটে আব্বুকে নিয়ে কিশোরের সারাবেলা।

২০০৩ সালে কিকুকো সুজুকি উপন্যাসটি জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন।

বইয়ের নামঃ আব্বুকে মনে পড়ে
লেখকঃ হুমায়ুন আজাদ
ধরনঃ কিশোরসাহিত‍্য
মোট পৃষ্ঠাঃ ৬৪
প্রকাশনীঃ আগামী প্রকাশনী

বুক রি-ভিউ লিখেছেন: দিলশাদ বিন এরশাদ, শিক্ষার্থী,আর্মড পুলিশ ব‍্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *