বেরোবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষকের জিডি

বেরোবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষকের জিডি

বেরোবি প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রসায়ন বিভাগের দুইজন সহকর্মী শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিভাগটির প্রধান তানিয়া তোফাজ। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় এই জিডি করেন তিনি। জিডি নং- ২৯১।

জিডিতে বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলাম এবং ড. বিজন মোহন চাকীর অব্যাহত হুমকি ও দূর্ব্যবহারে চরম আতংকগ্রস্থ ও নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তানিয়া তোফাজ বলেন, রবিবার বেলা ১টায় দাপ্তরিক কাজে বিভাগের অফিসে অবস্থান করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে বললে আমি অফিস রুমে শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করি। এরপর ড. বিজন মোহন চাকীর প্ররোচনায় কিছু শিক্ষার্থী কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে এবং আমাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এসময় আমি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে আটক করে রাখে।

“আবারো কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে বললে ড. বিজন মোহন চাকী ও তার সঙ্গীয় অন্যান্য শিক্ষকেরা তা অস্বীকার করলে আনুমানিক বেলা ৫টায় শিক্ষার্থীরা কলাপসিবল গেট খুলে দিয়ে আমাকে চলে যেতে বলে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একাডেমিক ভবন-৪ এর সামনে এবং বিভাগের রুমে এসে আমার সাথে অসদাচরণ করে এবং বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এইচ এম তারিকুল ইসলাম। এরপরে এইচ এম তারিকুল ইসলাম এবং বিজন মোহন চাকী বিভাগের কম্পিউটার অপারেটরকে জোড়পূর্বক বের করে দেয় এবং আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন।”

তবে অভিযোগে উল্লেখিত হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, আমরা তাকে কোন ধরণের হুমকি দেইনি। আমরা অফিসিয়ালি চারজন শিক্ষক তাকে বয়কট করেছি, তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আমরা ন্যায়ের পক্ষে আছি এটা তারা মানতে না পেরে আমাদেরকে দমন করতে এই জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে এইচ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এটা মিথ্যাচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য রহমান চক্রের ষড়যন্ত্র।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২৮ এর ২ ধারা ভঙ্গ সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকীকে নিয়োগ বঞ্চিত করে সহকারী অধ্যাপক তানিয়া তোফাজকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে বিভাগটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বৈধ বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ এর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *