ভিসির শেষ কামড়ের বলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক, দুই ছাত্র!

ভিসির শেষ কামড়ের বলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক, দুই ছাত্র!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্মাণ দুর্নীতি, বিধিবহির্ভূতভাবে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করা, ভাইবা বোর্ডে নারী পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন বিভিন্ন সময়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যারা সামনে এনেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওত পেতে ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেষ কামড়ের বলি হতে হয়েছে তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে অপসারণ ও এই দুটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোঃ মোবারক হোসেন নোমান ও ইমাম হোসেনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানানোর অভিযোগে এই তিন শিক্ষককে অপসারণের নোটিশ দিয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে আন্দোলনের সময়ে দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে নেমেছে ওই দুই শিক্ষার্থী।

এ সমস্ত বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বলেন, এই ক্যাম্পাসে বাকস্বাধীনতা বলে কিছু নেই। উপাচার্য নিজের পছন্দ মতো লোকদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরাচারী রাজত্ব কায়েম করেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে উপাচার্য এবং তার অনুসারীরা দমন-নিপীড়ন চালায়। যার ফলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের আগেই শেষ কামড়ের বলি হতে হলো এই তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *