ভ্রাম্যমাণ প্রাণীদের পাশে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

ভ্রাম্যমাণ প্রাণীদের পাশে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

মাজেদুল ইসলাম

শেকৃবি প্রতিনিধি


জীবে দয়া করে যেইজন, সেবিছে ইশ্বর। জীবে দয়া করলে পরোক্ষভাবে ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তারই সেবা করা হয় বলে আমরা জানি।এ মহান উক্তিটির সাথে একাকত্মতা প্রকাশ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো পশুপাখিদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্হা করতেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশ আজ স্হবির।প্রত্যেকটা লোকালয় প্রায় জনশূন্য।

সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হত কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিস্প্রভ করে দিয়েছে।প্রায় সব শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে ঠাই নিয়েছে কিন্তু অবুঝ প্রাণীদের তো আর বাসাবাড়ি নাই তাই তারা পড়ে রয়েছে তাদের প্রতিদিনকার চারণভূমি কোন না কোন প্রতিষ্ঠান বা খোলা জায়গায়।

আমরা জানি,এক এলাকার এসব প্রাণীরা(কুকুড়,বিড়াল) অন্য এলাকায় তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না বা টিকতে পারে না।তাই তারা নিজ জায়গায় বিচরণ করে।

করোনা ভাইরাসের দরুন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আজ প্রায় জনশূন্য।সুউচ্চ হল ও মাঠগুলো যেখানে শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হতো আজ তা কেবল অতীত। কিন্তু এসব হল, মাঠ,অনুষদের চিপাগলি দাপিয়ে বেড়ানো পশুপাখিরা ঠিকেই ওখানেই পড়ে আছে এবং তাদের অবস্হান জানান দিচ্ছে।
এসব পশুপাখিরা মূলত হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন,ক্যাফেটেরিয়া ও স্টল গুলোর খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ খেয়ে বড় হতো আবার অনেক শিক্ষার্থী শখে বিড়াল পুষতো এবং শখ করে বিভিন্ন নাম
(রক্সি,মন্টি) ও দিয়েছিলো শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু এ প্যান্ডেমিকের কারণে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় আসায় ডাইনিং, ক্যান্টিন ও অন্যান্য দোকানপাঠ বন্ধ থাকায় এসব পশুপাখিরা পড়েছে মহাবিপাকে।তাদের ও তো খাবার প্রয়োজন।

ভাগ্যিস,বেশ কিছু শিক্ষার্থী তাদের থেসিস ও অন্যান্য প্রয়োজনে হলেই অবস্হান করে।তারা পশুপাখিদের এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং রোজ খাবারের ব্যবস্হা করতেছে।শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মাঠে এসব শিক্ষার্থীরা সময় করে খাবার দেয় আর পশুপাখিরা সমবেত হয় সেই খাবারের জন্য।

মানুষ যেমন ক্ষুধা নিবারণে মরিয়া হয়ে উঠে তেমনি পশুপাখির ও ক্ষুধা লাগে।তাই শেকৃবির হলে অবস্হানরত শিক্ষার্থীদের এহেন উদ্যেগকে সাধুবাদ জানাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *