মনের অব্যক্ত অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা চারুশিল্পীদের অন্যতম কাজ : চবি ভিসি

মনের অব্যক্ত অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা চারুশিল্পীদের অন্যতম কাজ : চবি ভিসি
নুর নওশেদ, চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নান্দনিক ও প্রাচীন বিভাগ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
আজ দুপুর ১২টায় চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কক্ষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণের শুরুতে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চারুকলা ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের একটি পরিচিত নাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ এ ইনস্টিটিউট যোগ্য মানবসম্পদ উৎপাদনে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার আরও বলেন, মনের অব্যক্ত অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা চারুশিল্পীদের অন্যতম কাজ। দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট হতে শিক্ষাজীবন শেষ করে চারুশিল্পীরা সৃষ্টিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে তাঁদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে স্ব স্ব অবস্থানে নিজেদের সুদৃঢ় করার পাশাপাশি এ ইনস্টিটিউট তথা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সুনাম বৃদ্ধি করছে। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের।
১৯৬৯ সালে শিল্পী রশিদ চৌধুরীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধীনে ‘সহায়ক’ বিষয় হিসেবে শিল্পকলা বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চারুকলা শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে রশিদ চৌধুরীকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। চারুকলা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে চারুকলা বিভাগ হিসেবে এটি চালু করা হয়। শুরুতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ড. আবদুল করিম ভবনে এই বিভাগের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
পরবর্তীতে ২০১০ সালে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারুকলা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং ২০১০ সালের ২ আগষ্ট চারুকলা ইনস্টিটিউট ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জনাব প্রণব মিত্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুফিয়া বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, চবি চিকিৎসা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডাঃ সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এবং চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর সৈয়দ সাইফুল কবীর। অনুষ্ঠানে চবি কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তীসহ চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের এবং বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কসপ, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে জানানো হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *