মানহানি ও আইসিটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আলোচিত লেডি বাইকার
![মানহানি ও আইসিটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আলোচিত লেডি বাইকার](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/08/13-03-11-51552_237_copy_700x391.jpg)
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায়সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এখন আলোচিত নববধূ ফারহানা আফরোজ। নানাজন সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করতে চাইছেন তাকে। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিজের গায়ে হলুদের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর নানা বিরূপ মন্তব্যের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। এসবের বিরুদ্ধে এখন মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ফারহানা।
এর আগে ১৪ আগস্ট পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যশোর শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেয়ে ফারহানা আফরোজ। এর আগের দিন ১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদের দিনে বাইক নিয়ে পার্লার থেকে অনুষ্ঠান মঞ্চে যান। এ কাজে নিযুক্ত ফটোগ্রাফার তার অনুমতি নিয়েই ফেসবুকে দেন। এরপর এসব ছবি ভাইরাল হয়।
ফেসবুকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হওয়ায় মামলারও প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যাপারে ফারহানা বলেন, যেটা আমি করি নাই, সেটা আমি মেনে নেব না। এর জন্য আমি মানহানি ও আইসিটি মামলা করবো। এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার বর্হিভূত কার্যক্রমে দেশের প্রচলিত আইনেই বিচার সম্ভব। দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে সাইবার অপরাধ।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার মিতি বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে। এতে সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়।
ফারহানা জানান, ২০১৭ সালে বিয়ের কাবিন হয় তার। পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। তাই তিন বছর পর দুই পরিবারের সম্মতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিন্নধর্মী কিছু করতেই আয়োজন করেন মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার। ফারহানা বলেন, যাতায়াতের জন্য আমার আগে থেকেই বাইক চালানোর প্রয়োজন হয়।
ফারহানা বলেন, বাইক বাইক র্যালির ছবি ফেসবুকে আসার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তারা আমার বাইক চালানোর বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। ফলে তারা ছবি ও ভিডিও দেখে বেশ আনন্দ করেছে। কিন্তু নেটিজানরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। তারা আমার চারিত্রিক সনদ দিচ্ছেন। এটা আমি মানতে পারছি না। যে কারণে ছবি ভাইরাল হবার পর আমি নিজেই বাইক র্যালির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করি।
যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন ফারহানা।
তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালাই। মূলত বাড়িতে সাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো শেখা হয় ছোটবেলাতেই। বাবার মোটরসাইকেলটিও চালানোর একটা ঝোঁক ছিল। তাই বাবার অজান্তেই কোন প্রশিক্ষক ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো শিখি। ২০১৩ সালে ঢাকায় আসার পর বন্ধুদের বাইকে হাত পাকাই। এরপর নিজে স্কুটি কিনি। ওই স্কুটিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করি।