মেসভাড়া সংকট নিরসন চান চবি শিক্ষার্থীরা
![মেসভাড়া সংকট নিরসন চান চবি শিক্ষার্থীরা](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/10/resize1601549977904.jpg)
নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি
মেসভাড়া সংকট নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় চবি প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
করোনা মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখন ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে।ফলে অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থীর টিউশন ও উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে কটেজ মালিকরা নিয়মিত ভাড়া পরিশোধের জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।এতে হিমসিম খেতে হচ্ছে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের।সম্প্রতি কিছু মেস-কটেজে চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
উল্লেখিত সমস্যা নিরসনের দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়ার নিকট তিন দফা দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
তিন দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা যারা করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে মেস-কটেজ ভাড়া পরিশোধ করতে অপারগ প্রশাসন কর্তৃক তাদের তালিকা তৈরি করা এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা, মেস-কটেজ ভাড়া সংকট নিরসনে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই প্রশাসন কর্তৃক টাস্কফোর্স গঠন করা এবং বন্ধ ক্যাম্পাসে মেস-কটেজে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নেয়া।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতু,লোকপ্রশাসন বিভাগের নিলয়, পিসিপির (জেএসএস) সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেন চাকমা, পিসিপির (ইউপিডিএফ) তথ্য ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক রোনাল চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চবি শাখার ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ।
বক্তারা বলেন,করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বে একধরণেরর অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর প্রভাব পড়েছে যথারীতি শিক্ষার্থীদের উপরও। ‘৭৩’ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা হলেও এর আবাসন সংকট এখনো তুঙ্গে। এই করোনার সময়ে বাসা-মেস-কটেজ ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা। এই সঙ্কট নিরসনে অনেকদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ০৫সেপ্টেম্বর তারিখে একসাথে বকেয়া ভাড়া পরিশোধে মাত্র ২০ শতাংশ কটেজ/মেস ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চবি কটেজ মালিক সমিতি।