যবিপ্রবিতে গৃহকর্মীকে ‘নির্যাতন’, ৩০ হাজার টাকায় সমঝোতার চেষ্টা

টুডে ডেস্ক Avatar

ক্যাটাগরি : , ,

যবিপ্রবি টুডেঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক শাহানাজ আক্তারের স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রভাষক শাহানাজ আক্তারের স্বামী নাম মাজহারুর ইসলাম। তাদের গৃহকর্মী সখিনা খাতুন। এদিকে মাজহারুল পূবালী ব্যাংক যশোর শাখার একজন কর্মকর্তা। তিনি প্রায়ই সখিনাকে নির্যাতন চালাতো। এদিকে আজ শনিবার সকালে শারীরিক নির্যাতন চালালে সখিনার গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী সখিনার বাবা আবুল হোসেন জানান, মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক গৃহকর্মীর বাবা ও অবিভাবকদের নিয়ে শিক্ষক ডরমিটরিতে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংশার পায়তারা চালান। তারা প্রস্তাবে রাজি না হলে ৩০ হাজার পর্যন্ত করা হয়।

নির্যাতনের শিকার সখিনা খাতুন যশোর জেলার চৌগাছা থানার ফুলসারা ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। দুই সন্তানের জননী সখিনার স্বামী মাহামুদুল হাসান মারা যাবার পর সাংসারিক অস্বচ্ছলতার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওই শিক্ষকের বাসায় কাজ করতে পাঠান।

সখিনার আঘাত পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা দীপক কুমার মন্ডল জানান, ‘তাকে খুবই খারাপ ভাবে আঘাত করা হয়েছে। লাঠির আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেধেছে এবং টিস্যু খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ভুক্তভোগী সখিনা খাতুন বলেন, প্রায় আমাকে বকা ও গালিগালাজ করতেন মাজহারুল ইসলাম। এক পর্যায়ে আমি কাজ ছেড়ে দিব বলে সিদ্ধান্ত নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে জখম করা হয়। এসব জানানো হয় শাহানাজ আক্তারকে। তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করিনি আর করবও না। ৭২ ঘণ্টার ভেতর তাদেরকে ডরমিটরি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। আর যদি বাদী পক্ষ কোনো মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet