রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

রাবি প্রতিনিধি: চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা ১২টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

আগামী বৃহস্পতিবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দাবি মেনে নিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না করলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ‘২০১৬-১৭ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করা, পরীক্ষার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেয়া, করোনাকালীন হলসহ অন্যান্য অতিরিক্ত ফি মওকুফ করা’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মানিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী বলেন, শিক্ষকরা আমাদের পিতৃতুল্য। কিন্তু সেই শিক্ষকরাই এখন আর আমাদের নিয়ে ভাবেন না। যদি ভাবতেন তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরও পরীক্ষা নিতেন।

তিনি বলেন, আপনাদের নিয়োগ বাণিজ্য তো থেমে নেই, সিনেট অধিবেশন থেমে নেই, প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম চলছে, তাহলে আমার পরীক্ষা থেমে আছে কেন? আপনাদের যে সংকীর্ণতা তা পরিহার করে আমাদের কথা ভাবুন। আমরা বাঁচলে রাষ্ট্র বাঁচবে, আমরা বাঁচলে আগামী ভবিষ্যত বাঁচবে।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, ‘আর কতদিন এভাবে আমাদের প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হবে? ইতোমধ্যে আমরা পরিবারের বোঝা হয়ে পড়েছি। কিছুদিন পর রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে যাবো। আমাদের নাকের ডগা দিয়ে পরীক্ষার সার্কুলার যাচ্ছে, আমরা আবেদন করতে পারছি না। এতে আমরদের হতাশা বাড়ছে পাশাপাশি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছি।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ বলেন, গণমাধ্যম থেকে জানতে পারি- সরকার বলছে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিবে। এদিকে প্রশাসন সরকারের নির্দেশনার কথা বলছে। সরকার ও প্রশাসনের লোফালুফি খেলায় আমাদের হতাশা বাড়ছে, জীবনের আশার আলোস্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে এর দায়ভার কে নিবে?

হল খোলার দাবি জানিয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, সরকারি হিসেবে কওমী মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা খোলার ৫-৬ মাস পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্তের ঘটনা আমারা দেখিনি। কওমী মাদ্রাসাগুলোতে যেখানে শিক্ষার্থীরা একই রুমে গাদাগাদি করে থাকছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি রুমে ২ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খুলে দিতে সমস্যা কোথায়?

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শ্যামল অধিকারী, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইবরাহিম খলিল, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আভা প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *