রাবির উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি ১৪৭ কোটি, মেয়াদ বাড়লো আরও দু’বছর

রাবির উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি ১৪৭ কোটি, মেয়াদ বাড়লো আরও দু’বছর

রাবি প্রতিনিধি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বাড়লো ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এবার পাঁচটি প্রকল্প মোট ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ খরচের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

২০২০-২১ অর্থবছরের অষ্টম একনেক সভায় ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ শীর্ষক এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। পুরোটাই সরকার বহন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার শাহরিয়ার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দশনা পাওয়া মাত্রই খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এর আগে ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ৩৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়। গত বছরের জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বর্তমানে রেট সিডিউলের পরিবর্তন ও কিছু কারণে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা বাড়িয়ে এখন মোট ৫১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ছে দুই বছর; অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পটি সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও পূর্ত সংশ্লিষ্ট মোট ১৩টি অঙ্গের মধ্যে ৪টি অঙ্গের কাজের জন্য ২০১৭ সালে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ওই নির্মাণ কাজের ড্রয়িং, ডিজাইন ও ব্যয় প্রাক্কলন পুনঃনির্ধারণ করার পরিপ্রেক্ষিতে মূল অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় বেশকিছু অঙ্গের ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া মূল প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের পিডব্লিউডি রেট সিডিউল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ২০১৮ সালের রেট সিডিউল কার্যকর হওয়ায় প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়েছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে- দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, শহীদ এইচ এম কামরুজ্জামান হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা হল, শিক্ষক কোয়ার্টার ভবন, বিজ্ঞান ভবন ও শেখ রাসেল মডেল স্কুল ভবন নির্মাণ, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন মেরামত ও সংস্কার, চতুর্থ বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন ও কৃষি অনুষদ ভবন ও চারুকলা ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, সবুজ সীমানা প্রাচীর, ড্রেন ও কালভার্ট এবং যন্ত্রপাতি ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভায় অংশ নেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *