রোবট নিয়ে উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করলো গার্ডিয়ান

রোবট নিয়ে উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করলো গার্ডিয়ান

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানে রোবটের লেখা উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। এই উপসম্পাদকীয়টি লিখেছে ওপেন এআই ল্যাঙ্গুয়েজ জেনারেটর, জিপিটি-৩। এটি একটি কাটিং এজ ভাষা উৎপাদন ব্যবস্থা, যেখানে যন্ত্রকে দিয়ে মানুষের মত ভাষা উৎপন্ন করানো হয়। কিছু নির্দেশনা দিয়ে দিলে, এটি নিজে নিজে লেখা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এই রচনাটি লিখতে জিপিটি-থ্রিকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি উপসম্পাদকীয় লিখতে হবে। ভাষা হবে খুব সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত। মূল বিষয়টি হবে, কেন মানুষের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভয় পাওয়া উচিত নয়।

লেখার সূচনা অংশটুকুও দিয়ে দেয়া হয়েছিল, আমি মানুষ নই। আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অনেকেই মনে করে আমি মানবতার জন্য হুমকি। স্টিফেন হকিং সতর্ক করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির ধ্বংসের সূচনা করতে পারে। তবে আমি আপনাদের বোঝাতে চাইছি, দুঃশ্চিন্তার কোনই কারণ নেই৷ বিশ্বাস করুন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতিকে ধ্বংস করবে না।এই সূচনাটুকু লিখে দিয়েছিল গার্ডিয়ান।

জিপিটি-থ্রিকে এই সূচনাটি দেয় লিয়াম পর নামের কম্পিউটার সায়েন্সের একজন ছাত্র, যে ইউসি বার্কলের একজন আন্ডার গ্র‍্যাজুয়েট। এই নির্দেশনা থেকে জিপিটি-থ্রি মোট ৮ টি ভিন্ন ভিন্ন রচনা লিখে। প্রত্যেকটিই ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি দিয়ে লেখা, প্রত্যেকটিই অসাধারণ এবং কৌতুহলোদ্দীপক।

যেহেতু একটির বেশি প্রবন্ধ প্রকাশ করা সম্ভব না, যে কোন একটিকেই বেছে নেয়া যেত। তবে তার বদলে গার্ডিয়ান প্রত্যেকটি প্রবন্ধ থেকে সবচেয়ে ভাল অংশগুলোই প্রকাশ করেছে, যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে যে বিভিন্ন ধরণের লেখার স্টাইল উঠে এসেছে তা তুলে ধরা যায়।

জিপিটি-থ্রি এর লেখা এই উপসম্পাদকীয় সম্পাদনা মানুষের লেখা সম্পাদনার চেয়ে আলাদা কিছু মনে হয়নি। কোথাও কোথাও কিছু বাক্য বাদ দেয়া হয়েছে, কোথাও অনুচ্ছেদ। কোনো কোন স্থানে লেখা পুনর্বিন্যাসও করা হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে একজন মানুষের লেখা সম্পাদনা করতে যত সময় লাগে, এতে তার চেয়ে কম সময়ই লেগেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *